ad
ad

Breaking News

মাইথন জলাধার

শীত পড়তেই নতুনভাবে সেজে উঠছে ‘মাইথন’, শীতের দুপুরের খানিকটা কাটাবেন নাকি অফবিট এই প্লেসে?

Bangla Jago TV Desk : জাঁকিয়ে শীত পড়ার আগেই অনেকে নিরিবিলি জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য বাক্স –প্যাঁটরা সাজাচ্ছেন।ফি বছর যাঁরা অফবিট স্পটের খোঁজে থাকেন,তাঁদের কাছে পয়লা পছন্দের হতে পারে মাইথন জলাধার। বাংলা- ঝাড়খণ্ড সীমানায় বরাকর নদের উপর ১৫৭১২ ফুট দীর্ঘ ও ১৬৫ ফুট উঁচু বাঁধ এবং ৬৫ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে দেখার মতো জলাধার কার্যতঃ পর্যটকদের […]

Bangla Jago TV Desk : জাঁকিয়ে শীত পড়ার আগেই অনেকে নিরিবিলি জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য বাক্স –প্যাঁটরা সাজাচ্ছেন।ফি বছর যাঁরা অফবিট স্পটের খোঁজে থাকেন,তাঁদের কাছে পয়লা পছন্দের হতে পারে মাইথন জলাধার। বাংলা- ঝাড়খণ্ড সীমানায় বরাকর নদের উপর ১৫৭১২ ফুট দীর্ঘ ও ১৬৫ ফুট উঁচু বাঁধ এবং ৬৫ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে দেখার মতো জলাধার কার্যতঃ পর্যটকদের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে। পাহাড়ের কোলে গাছে গাছে ফুটে থাকে নানারকমের চেনা-অচেনা ফুল। এখানকার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বরাবর আকৃষ্ট করে ভ্রমণপিপাসুদের।আর শীতের সেই সফর জমিয়ে দেয় লেকে বোটিং।

পর্যটকদের আশায় নৌকা সাজিয়ে বসে থাকেন মাঝিরা। লেকের জলে বোটিং করতে করতে সূর্যাস্ত দেখতে দারুণ লাগে। সকালে ঝলমলে পরিবেশ। সন্ধেবেলায় লেখা হয়ে যায় নির্জনতার মহাকাব্য।রাত নামলেই  আকাশের কালো ক্যানভাসে ফুটে ওঠে বিন্দু বিন্দু তারা।তাই এই কলরবের আশায় এখন থেকে রঙিন নৌকার ভিড় বাড়ছে। মাইথন নামের উৎপত্তি মাই-কা-থান থেকে। এই মা হচ্ছেন দেবী কল্যাণেশ্বরী। আসানসোলের দিক থেকে যাওয়ার সময়ে প্রথমেই কল্যাণেশ্বরী মায়ের দর্শন করতে হয়। এই মন্দির প্রায় ৫০০ বছরের পুরোনো। দেবীর দর্শন করে পুজো দিতে পারেন। এখানে আছে চিরসবুজ হ্যাংলা পাহাড়।

মাইথন থেকে প্রায় ১৬ কিমি দূরে আছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের আরেক বাঁধ পাঞ্চেত ড্যাম, পাঞ্চেত পাহাড়, বড়ন্তি ও গড়পঞ্চকোট। বাঁধের নিচে পাহাড়ের ১৩৫ ফুট ভিতরে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। কীভাবে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, দেখে আসা যায়। তার জন্য প্রয়োজন দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের পিআরও-র অনুমোদন। বাঁধের নীচে রয়েছে ডিয়ার পার্ক। ছোটরা  ডিয়ার পার্কে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি নৌবিহারের ব্যবস্থা আছে। এই পর্যটন কেন্দ্রে আসানসোল, কলকাতা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বর্ধমান সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকে এই পর্যটন কেন্দ্রে পিকনিক করতে আসে!!পিকনিক সিজিনের অপেক্ষায় যেমন থাকে নৌচালকরা তেমনি পর্যটন কেন্দ্রে যেসব ব্যাবসায়ীরা দোকান করে সেই সব ব্যবসায়ীরাও অপেক্ষায় থাকে এই সিজনের দিকে তাকিয়ে!

 

FREE ACCESS