চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: শহুরে নাগরিক ব্যস্ততা থেকে দূরে কয়েকটা দিন নিরিবিলিতে কাটানোর আদর্শ অফবিট পর্যটন কেন্দ্র হল উত্তরবঙ্গের ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম মাহালদিরাম (Mahal Diram)। একসঙ্গে মেঘ, চা বাগান, কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়, মোমো, ছোটোখাটো ট্রেকিং, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাখি, জৈব চাষ পেতে চাইলে আপনাকে যেতেই হবে মাহালদিরাম।
মাহালদিরাম কথাটি এসেছে লেপচা শব্দ থেকে। অতীতে এখানে অনেক ইউরোপীয় শৈলীর বাংলো দেখা যেত। এখন অবশ্য সব কালের গর্ভে তলিয়ে গেছে। প্রকৃতির সান্নিধ্যে দুদণ্ড শান্তিতেপর্যটক মহলে এখনো সেভাবে পরিচিত না হয়ে ওঠা মাহালদিরামে ভিড়ভাট্টা কম। দুদিন আরামে কাটানোর আদর্শ ঠিকানা হল মাহালদিরাম। মহানন্দা অভয়ারণ্যের খুব কাছে অবস্থিত মাহালদিরাম পাখিদের স্বর্গরাজ্য বলে পরিচিত। ভাগ্য সহায় হলে হরিণ ও চিতাবাঘের দেখা মিলতে পারে।
আরও পড়ুন: Bhangar Child Prodigy: মাত্র দু বছরেই ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে’ নাম ভাঙড়ের খুদের
আকাশ মেঘমুক্ত পরিষ্কার থাকলে খুব ভালো ভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স অঞ্চল দেখা যায়। এখানে সত্যিই ‘মেঘ গাভীর মতো চরে ‘। হোটেল, হোম স্টে’র বারান্দায় এসে দাঁড়ালে মেঘ ধরা দেবে। tb মেঘ আপনাকে ভিজিয়ে দিয়ে চলে যাবে। মাহালদিরাম যাওয়ার রাস্তায় দু’পাশে নজরে আসে শুধু সবুজের সমারোহ। প্রচুর চা বাগান আছে মাহালদিরামে। চা পাতা তোলার দৃশ্য দেখা যায়। শীতের সময় পাওয়া যায় কমলালেবু। শীতে অন্য রূপ মাহালদিরামের। এখান (Mahal Diram)থেকে ঘুরে আসা যায় চটকপুর, মঙপু, লাটপাঞ্চার, সিটং, নামথিং পোখরি, বাগোরা, দিলারাম, টাইগার হিল। মাহালদিরামের স্থানীয় বাসিন্দারা চা বাগানে কাজ করার পাশাপাশি এলাচ, সিনকোনা চাষ করেন।
কীভাবে যাবেন
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাহালদিরামের দূরত্ব ৫৮০০ ফুট। কাছের বিমানবন্দর বাগডোগরা। সবচেয়ে কাছের রেলস্টেশন নিউ জলপাইগুড়ি। শিলিগুড়ি বা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে মাহালদিরামের দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। কার্শিয়াং থেকে দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। হিল কার্ট রোড ধরে কার্শিয়াং পেরিয়ে পৌঁছে যান দিলারাম মোড়। এখান থেকে মাহালদিরামের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। থাকার জন্য রয়েছে হোটেল, হোম স্টে।
Bangla Jago Fb page: https://www.facebook.com/share/193NB43TzC/
প্রকৃতির সান্নিধ্যে দুদণ্ড শান্তিতে কাটানোর আদর্শ ঠিকানা হল মাহালদিরাম (Mahal Diram)। মহানন্দা অভয়ারণ্যের খুব কাছে অবস্থিত মাহালদিরাম পাখিদের স্বর্গরাজ্য বলে পরিচিত। ভাগ্য সহায় হলে হরিণ ও চিতাবাঘের দেখা মিলতে পারে। আকাশ মেঘমুক্ত পরিষ্কার থাকলে খুব ভালো ভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স অঞ্চল দেখা যায়।