Bangla Jago Desk, Mou Basu : সোনার নাম শুনলেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মন খুশ হয়। কিন্তু সোনার দাম এখন ঊর্ধ্বগামী তাই সোনার নাম শুনলেই এখন গায়ে ছ্যাঁকা লাগছে। কিন্তু জানেন কি এমন একটা পাহাড় আছে যা অনবরত সোনা উগড়ে বের করে দিচ্ছে। সাদা বরফের চাদরে ঢাকা এই পাহাড়ের চারপাশে সোনা এখানে ওখানে অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে।
এই পাহাড় দিনে ৮০ গ্রামের মতো সোনা উগরে দেয় রোজ। ভাবছেন কোন গ্রহে রয়েছে এমন পাহাড়? সবুর করুন। এই পৃথিবীতেই রয়েছে এমন বিরল পাহাড়। বহু বছর ধরে এই পৃথিবীতেই সোনা উগড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে চলেছে। সাদা বরফের চাদরের ওপর সোনা পড়ে থাকে ইতিউতি।এই পাহাড় আদতে একটি আগ্নেয়গিরি। নাম তার মাউন্ট ইরেবাস। বরফের রাজ্য অ্যান্টার্কটিকায় রয়েছে এই আগ্নেয়গিরি। মাউন্ট ইরিবাস পৃথিবীর দক্ষিণ প্রান্তের শেষ আগ্নেয়গিরি হিসাবে পরিচিত। অ্যান্টার্কটিকার মাউন্ট ইরেবাস আগ্নেয়গিরি কিন্তু সক্রিয়। অনবরত মাউন্ট ইরেবাসের জ্বালামুখ দিয়ে ধোঁয়া ও অর্ধেক গলিত ছোট ছোট টুকরো ছিটকে বার হতে থাকে হিমশীতল মেরুতে বরফের পুরু চাদরের ওপর।
টুকরোগুলি সজোরে ছিটকে বের হয়ে বহু দূরে গিয়ে এদিক সেদিক ছিটকে পড়ে। দেখা গেছে এই ছিটকে বার হওয়া অর্ধগলিত ধাতুর মধ্যে কম করে ৬ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের সোনাও ছিটকে বের হয়। অ্যান্টার্কটিকার জনমানবশূন্য বরফের দেশ রস দ্বীপে রয়েছে মাউন্ট ইরেবাস। উচ্চতা ৩৭৯৪ মিটার। যখনই বিজ্ঞানীরা এখানে অভিযানে হাজির হন তখনই এখানে ওখানে সোনা ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। অ্যান্টার্কটিকায় অনেক আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এরমধ্যে মাউন্ট ইরেবাস ছাড়া আরও ২টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে রস দ্বীপে। ১৮৪১ সালে অ্যান্টার্কটিকায় অভিযানের সময় এই জ্বালামুখীর সন্ধান পান ক্যাপ্টেন জেমস ক্লার্ক রস।