Bangla Jago Desk : ‘পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি ‘ যারা ভ্রমণ পিপাসু তাদের জন্য রবীন্দ্রনাথ বোধহয় যথার্থ বলেছিলেন তাঁর বিখ্যাত উপন্যাসে। ভ্রমণ পিপাসুরা নানান সময় পথে নামেন , দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ান । যারা পর্যটক তারা কখনো মেঘালয় কখনো মিজোরাম ঘুরে বেড়ান। সেরকমই একটি জায়গা মিজোরামের মামিত । মিজোরামের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত মামিত হল একটি ছোট্টো জেলা। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য মুগ্ধ করে পর্যটকদের কে। যারা রোমাঞ্চকর ভ্রমণ ভালবাসেন তাদের জন্য এই জায়গাটি একেবারে আদর্শ। এখানে বেশ কয়েকটি গুহা রয়েছে। যার আলো-আঁধারি পরিবেশ আকর্ষণ করে পর্যটকদেরকে। এসব গুহা গুলির মধ্যে অন্যতম পুকজিং গুহা। স্থানীয়দের বিশ্বাস অনুযায়ী রহস্যময় এই গুহা একজন শক্তিশালী ব্যক্তির চুল দিয়ে শক্ত করে বাঁধা রয়েছে।
[আরও পড়ুন : দিগন্ত জুড়ে নীল আকাশ সাথে নির্জনতায় ভরা কুমাই গ্রাম]
এই গুহা শনিবার রবিবার এবং সরকারি দিনগুলিতে বন্ধ থাকে। তাই নির্দিষ্ট দিন ছাড়া গেলে এই গুহার ভেতরের রহস্য কোন পরিবেশের সঙ্গে পরিচয় ঘটে না। মামিতের প্রধান পর্যটন আকর্ষণগুলির মধ্যে একটি হল ডাম্পা টাইগার রিজার্ভ । এখানে মিজোরামের বৃহত্তম বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য আছে যেখানে চিতাবাঘ, হরিণ, বাঘ সহ নানান প্রজাতির প্রাণী দেখা যায়। শুধু তাই নয় আইজল থেকে প্রায় ৭০কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের ঢালে বসবাস করছে নিজেও উপজাতির মানুষজন। যাদের আদব কায়দা রীতিনীতি চালচলন সবকিছু আলাদা।। তারা কুরে ঘরে থাকে, পাহাড়ের কোলে। তাদের নিজস্বতা উপভোগ করেন পর্যটকেরা । বছরের নানান সময় এখানে হাজির হোন পর্যটকেরা । মিজোরাম যাওয়ার জন্য ট্রেন অথবা ফ্লাইটে যাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে লেংপুই বিমানবন্দরে পৌঁছে তারপর সেখান থেকে সড়ক পথে পৌঁছানো যাবে এই মামিত জেলায় । অথবা ট্রেনে গুয়াহাটি যাওয়ার পর সেখান থেকে সরাসরি মামিতে পৌঁছানো যায় ।