চিত্র - সংগৃহীত
Bangla Jago Desk : পৃথিবীতে নানা ধরনের মানুষ আছেন। কারুর পছন্দ গান করা, কারুর পছন্দ নাচ করা, কেউ আবার আবৃতি ছবি আঁকা এইসবও পছন্দ করেন। তবে অনেকের হবি পাখি দেখা আর তাদের ক্যামেরা বন্দি করে রাখা। গ্রামেগঞ্জে নানা রকমের পাখিদের সাথে আলাপ ঘটলেও শহর অঞ্চলে তেমন পাখিদের আনাগোনা দেখা যায়না। মানুষ আলাদা করে পাখি দেখার জন্য খরচ খরচা করে পৌঁছে যান উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পাহাড়ি ডেস্টিনেশনে। কিন্তু সেই পাখি দেখার সুযোগ যদি পাওয়া যায় কলকাতার কাছে কোন এক জায়গায় তাহলে কেমন হয়? প্রথমেই আপনাদের নিয়ে যাব সাঁতরাগাছি ঝিলে। সারাবছরই এখানে পাখিদের আনাগোনা থাকে। তবে এই শীতে অতিথি হিসাবে এসে থাকেন বহু পরিযায়ী পাখি। যাদের দেখতে ভিড় জমান হাজার হাজার পাখি প্রেমী পর্যটকেরা।
[ আরও খবর : ‘কোনওভাবেই এখন অবসর নয়’, জল্পনা ওড়ালেন হিটম্যান]
বঙ্গে শীতের আমেজ বেশ ভালোই উপভোগ করা যাচ্ছে। এই শীতের আমাজে শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখে পাখি দেখার মজায় অন্যরকম। আর এই মজা চুটিয়ে উপভোগ করার জন্য পৌঁছে যান সাঁতরাগাছি ঝিলে। হুইসলিং বার্ড, গাডওয়াল এবং নর্দান পিন্টেল, টাফটেড ডাক প্রভৃতি পাখি দেখা যায় এই ঝিলে। এছাড়াও এখানে দেখা যায় মুরহেন, ব্রোঞ্জ জাকানা, পার্পল হেরন, হোয়াইট ওয়াগটেল, লিটল কর্মরান্ট, গ্রেট ইন্ডিয়ান পন্ড হেরন, হোয়াইট থ্রোটেড কিংফিশার সহ অন্যান্য প্রজাতির পাখিগুলি। যেতে গেলে আপনাদের হাওড়া থেকে সাঁতরাগাছি ট্রেন ধরে নামতে হবে সাঁতরাগাছিতে। অথবা আপনি চাইলে টোটো করেও যেতে পারেন। আর সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে হেঁটেই পৌঁছে যাওয়া যায় সাঁতরাগাছি ঝিলে।
সাঁতরাগাছি ঝিল ছাড়াও শহরের কাছাকাছি পাখি দেখার সুযোগ পেয়ে যাবেন চুপির চরেও। ভাগীরথীর বুকেই রয়েছে এই চুপির চর। নদী লাগোয়া এই অশ্বখুরাকৃতি হ্রদের জলে কেবল বিচরণ করে নানা দেশি বিদেশি পাখিরা। চুপির চর যেতে চাইলে আপনাকে হাওড়া কাটোয়া লাইন ধরে লোকাল ট্রেন ধরতে হবে, সেই লোকাল ট্রেনে করে পৌঁছে যেতে হবে পূর্বস্থলী। তাই যারা পাখি দেখতে পছন্দ করেন তারা হাতে ১ দিন সময় নিয়ে ঘুরে আসুন এই সাঁতরাগাছি ঝিল কিংবা চুপির চর থেকে।