ad
ad

Breaking News

ব্যান্ডেল চার্চ

ব্যস্ততা থেকে বিরতি নিতে কয়েকঘন্টার মধ্যে ঘুরে আসতে পারেন ব্যান্ডেল চার্চ থেকে

The Truth of Bengal: সপ্তাহের কর্মব্যাস্ততায় একঘেয়েমি লাগছে? কিন্তু এদিকে হাতে দুদিনেরও সময় নেই? কিন্তু এমন ভাবে তো বেশি দিন ভালো লাগে না তাই না! তবে চলুন আপনাদের ঘুরিয়ে আনই হাতের কাছে একটি দর্শনীয় তবে ধর্মীয় স্থান থেকে। না এটা কোনো মন্দির নয়। এটি একটি চার্চ। পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম চার্চগুলির মধ্যে অন্যতম হল ব্যান্ডেল চার্চ। যান […]

The Truth of Bengal: সপ্তাহের কর্মব্যাস্ততায় একঘেয়েমি লাগছে? কিন্তু এদিকে হাতে দুদিনেরও সময় নেই? কিন্তু এমন ভাবে তো বেশি দিন ভালো লাগে না তাই না! তবে চলুন আপনাদের ঘুরিয়ে আনই হাতের কাছে একটি দর্শনীয় তবে ধর্মীয় স্থান থেকে। না এটা কোনো মন্দির নয়। এটি একটি চার্চ। পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম চার্চগুলির মধ্যে অন্যতম হল ব্যান্ডেল চার্চ। যান যায় এই গির্জার পোষাকি নাম দ্য ব্যাসিলিকা অফ দ্য হোলি-রোসারি, ব্যান্ডেল। এই চার্চটি ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ নির্মিত। বলা হয় এই চার্চটি মেরিমাতা নোসা সেনোরা দি রোজারিও, আওয়ার লেডি অফ দ্য রোজারি প্রতি উৎসর্গিত। জানা যায় এক সময় পর্তুগীজরা ব্যান্ডেল শহরটিকে বন্দর হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন। তারাই মুঘল সম্রাট আকবরের কাজ থেকে নতুন শহর নির্মাণের অনুমতি নেন।

এই অনুমতি নিয়ে তারা সেখানে বসবাস শুরু করলে স্থানীয়দের খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত করেন। এরপরেই ইতিহাস বেশ লম্বা। এখানেই ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয় ব্যান্ডেল চার্চ। তবে ১৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে মুরেরা হুগলি আক্রমণ করলে প্রথম তৈরি হওয়া গির্জাটি ভষ্মীভূত হয়ে যায়। এরপর ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে গোমেজ দে সোতো একটি নতুন গির্জা নির্মাণ করেন। এখনও পর্যন্ত মঠের পূর্ব দ্বারে পুরনো গির্জার কীস্টোন বা ভিত্তিপ্রস্তরটির দেখা পাবেন আপনি। এখানে সারা সপ্তাহের ব্যস্ততা দূর করতে কয়েক ঘণ্টার জন্য আসতেই পারেন। এখানে দেখার মত অনেক কিছু আছে। প্রথমেই আপনি দেখতে পাবেন গির্জার সম্মুক্ষে জাহাজের মস্ত মাস্তুল।

কথিত আছে যে বঙ্গোপসাগরে একটি পর্তুগিজ জাহাজ প্রবল ঝড়ের মুখে পড়লে মেরিমাতা জাহাজটিকে রক্ষা করেছিলেন। এরপরই কৃতজ্ঞতাস্বরূপ জাহাজের ক্যাপ্টেন মাস্তুলটি গির্জায় দান করে দেন। এছাড়াও গির্জায় তিনটি পূজাবেদি, কয়েকটি সমাধিপ্রস্তর, একটি পাইপ অর্গ্যান ও মেরির একটি সিংহাসন রয়েছে। এখানে আসার জন্য আপনাকে আপনার বাড়ি যেখানেই হোক সেখান থেকে সোজা নৈহাটি আসতে হবে। তারপর সেখান থেকে ব্যান্ডেলগামী ট্রেন ধরে আপনাকে নামতে হবে হুগলী স্টেশনে। সেখান থেকে খানিকটা হাঁটা পথেই পৌঁছে জেতে পারবেন। তাহলে একদিন আসুন ঘুরে যান।

Free Access