Bangla Jago Desk: আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে আর ১ সপ্তাহের মধ্যেই শীত প্রবেশ করবে বাংলায়। শীত আসা মানেই চড়ুইভাতি। পাশাপাশি ঘোরা টাও গুরুত্বপূর্ণ। ভাবছেন এমন জায়গা কোথায় পাওয়া যাবে যেখানে চড়ুইভাতির সঙ্গে ঘোরার সুযোগ রয়েছে। আজ আপনাদের নিয়ে যাব সেই রকম এক জায়গায়, যেখানে নদী চা বাগান এমনকি সবুজ ঘাসে ঢাকা এয়ার ফিল্ড রয়েছে। ডুয়ার্স মানেই জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়, ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হাতির পিঠে চড়ে সাফারি করা, সাফারি করতে করতে দেখা যায় নানা বন্যপ্রাণী। পাহাড় খরস্রোতা নদী আর জঙ্গলের মেলবন্ধন দেখতে বছরভর বহু পর্যটকরা এসে থাকেন ডুয়ার্সে। এই ডুয়ার্স জুড়ে যেমন পাহাড়ি উপত্যকার ছোঁয়া রয়েছে তেমনি রয়েছে চা বাগানও। যে বাগানে গিয়ে পর্যটকরা হারিয়ে যান প্রকৃতির মাঝে।
আর সেই রকমই চা বাগানে ঘেরা একেবারে অফবিট জায়গা হল জলপাইগুড়ির কালচিনিতে অবস্থিত চুয়াপাড়া চা বাগান। এই ছোট্ট গ্রাম পুরোটাই ঘেরা সবুজ চা বাগানে। শীত বর্ষা যে কোন ঋতুতে রুপসী ডুয়ার্স পর্যটকদের ভ্রমণের তালিকায় থাকে সবার প্রথমে। অনেকেই আছেন যারা একদম অফবিট নিরিবিলি নিঝুম জায়গায় ঘুরতে যেতে চান, তাদের কাছে এই ঠিকানা সেরা ঠিকানার মধ্যে একটি। একপাশে সবুজ ছোট বড় নানা আকারের পাতার চা বাগানের বাগিচা আর অন্যপ্রান্তে সুদীর্ঘ কালিজানি নদী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলার পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটেছে বহু জায়গায়। রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গুলিকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ঢেলে সাজানো হয়েছে।
আর সেই কারণে ধীরে ধীরে চুয়াপাড়াও পর্যটকদের কাছে ভ্রমণের এক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে। এক সময় এই চুয়াপাড়ায় ছিল বিশাল দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমৃদ্ধ এয়ার ফিল্ড। যেখানে একের পর এক নামত যুদ্ধ বিমান। বর্তমানে সেই জায়গা থাকলেও সবুজ ঘাসে ঢেকে গেছে এই এয়ার ফিল্ড চত্বর। যেখানে এই গ্রামের বাচ্চারা এসে এখন খেলাধুলো করে। নদীর ধারে এই সবুজে ঘেরা চত্বরে শীতের মরশুমে প্রায়শই চড়ুইভাতি করতে দেখা যায় স্থানীয়দের। ফলে ডুয়ার্স গেলে এটি যে একটি গন্তব্য হতে পারে সেটা বলায় যায়। সুতরাং পর্যটকদের ভিড় বাড়ার আগেই এই অজানা জায়গা থেকে একবার ঘুরে আসতেই পারেন। এই সবুজে ঘেরা উপত্যকায় পৌঁছে গেলে এনেজেপি তে নামতে হবে আপনাকে, এছাড়াও জলপাইগুড়ি স্টেশন অথবা রোড ধরেও পৌঁছে যেতে পারবেন এই চা বাগানে ঘেরা জায়গায়।