Bangla Jago Desk: যে দিকেই চোখ যায় সেদিকেই দেখা যায় সবুজ ঘন জঙ্গল যা দেখে সত্যি চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার জোগাড়। প্রকৃতির মায়াবী রূপ দেখে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করবে আপনার। ভাবছেন কোথায় যাবেন? দার্জিলিং এর কাছে রয়েছে আরও এক অফবিট ডেস্টিনেশন যেখানে গেলে সারা সপ্তাহের ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে আপনার।
একপাশে মহানন্দা অভয়ারণ্যের জঙ্গল। ঠিক তার একপাশে ছোট্ট গুলমা রেলস্টেশন। নিজের প্রবাহপথে আপন মনে বয়ে চলেছে মহানন্দা ও গুলমাখোলা নদী। দূরের দিকে তাকালে দেখা যাবে ছোট বড় নানা আকারের পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে। ভাগ্য ভালো থাকলে পাশের জঙ্গলের দিকে তাকালে দেখতে পাওয়া যেতে পারে হাতি, চিতাবাঘ থেকে শুরু করে আরও নানা ধরনের জীবজন্তু। শিলিগুড়ির কোলে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই গন্তব্যের নাম গুলমা।
গুলমা হাতিদের করিডোর। তাই মাঝে মধ্যেই জঙ্গল থেকে সুর উঁচিয়ে হাতিদের দল বেরিয়ে আসে। নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে নদী আর উপর দিয়ে ছুটে চলেছে ট্রেন। বিশাল বড় এই নদী ভর্তি রয়েছে সাদা নুড়ি পাথর দিয়ে। সেই ছোট বড় নুড়ি পাথরের উপর দিয়ে নদীর জল সুন্দর ভাবে বয়ে চলেছে, যা দেখে এই প্রকৃতির মাঝে আপনারও ইচ্ছে করবে হারিয়ে যেতে। এই গুলমা থেকে আপনি পৌঁছে যেতে পারেন শালুগারার তড়িবাড়িতে। সেখানে রয়েছে একটি বৌদ্ধ মঠ যার নাম ইওয়াম ইন্ডিয়া বৌদ্ধ মঠ।
হাজার হাজার পর্যটক আসেন এই বৌদ্ধ মঠ দর্শনে। বিশাল বড় এবং বিশাল জায়গা ঘিরে তৈরি হয়েছে এই মঠ। এই বুদ্ধ মঠের একপাশে পাহাড় অন্যপাশে পাহাড়ি নদী বয়ে চলেছে তার সুন্দর গতিপথে। শিলিগুড়ি শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে এই সুবিশাল মঠ। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটকরা ভিড় করে থাকেন এই মঠে। এই মঠের সামনে রয়েছে অপূর্ব কারুকার্য করা এক বিশাল গেট। সেই গেট দিয়ে প্রবেশ করার পর খানিকটা গিয়ে পড়বে মূল বৌদ্ধ মন্দির। চোখের সামনে এই মন্দির দেখলে আপনার একবারের জন্য হলেও মনে হবে চিনের কোন বৌদ্ধ মন্দিরে গেছেন আপনি।
সিনেমা বা ইউটিউবের কোন ভিডিয়ো তে ঠিক যে আদলে দেখে থাকেন চিনা বৌদ্ধ মন্দির গুলির গঠন এবং নিখুঁত কারুকার্য শিলিগুড়ির এই ইওয়াম ইন্ডিয়া বৌদ্ধ মঠ আসলেও দেখবেন চিনা বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে তৈরি এই মন্দিরের গঠন ও কারুকার্য। ভাবছেন কিভাবে যাবেন? ট্রেনে করে পৌঁছে যান এনজেপি। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে চম্পাসারি রোড ধরে অথবা এনএইচটেন ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন এই গুলমায়।