ad
ad

Breaking News

Valley surrounded

নদী, চা বাগান ও জঙ্গল ঘেরা ছাওয়াফেলি

ডুয়ার্সে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে নতুন আকর্ষণ ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের ছাওয়াফেলি। নদী, চা বাগান ও জঙ্গল ঘেরা ছাওয়াফালি এলাকায় বর্তমানে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে।

A valley surrounded by rivers, tea gardens, and forests

Bangla Jago Desk,সুব্রত রায়, জলপাইগুড়ি: ডুয়ার্সে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে নতুন আকর্ষণ ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের ছাওয়াফেলি। নদী, চা বাগান ও জঙ্গল ঘেরা ছাওয়াফালি এলাকায় বর্তমানে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পর্যটকদের অত্যন্ত পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে এটি। ডুয়ার্সের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনে ধরার মতো। তবে ছাওয়াফেলি যাওয়ার রাস্তার দু দিকের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ সেই সাথে যাতায়াতের পথে বন্য জন্তু থেকে শুরু করে নানান রকম পাখির দেখা মেলে।

[আরও পড়ুনঃ বাড়িতে আচমকা অসুস্থ? সমাধানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি নতুন যন্ত্র

সব থেকে বড় বিষয় ডুয়ার্সের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের মত এখানে তেমন ওই হট্টগোল কিংবা মানুষের ভিড় নেই। বলা যেতে পারে এখনো কিছুটা লোক চক্ষুর আড়ালে রয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্র। চা বাগান এবং সবুজ জঙ্গলের বুক চিরে যাওয়ার রাস্তায় মন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। সব থেকে বেশি মনোরম হয়ে ওঠে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময়। এই মুহূর্তে লাটাগুড়ি মূর্তি সহ বিভিন্ন এলাকার পর্যটকরা বিকেলের পর টোটো সাফারি করতে বেরিয়ে পড়ছে ছাওয়াফেলির উদ্দেশ্যে। বড়দিঘী চা বাগানে রাস্তা হয়ে ছাওয়াফালি যাওয়ার সময় মাঝেমধ্যেই রাস্তার ধারে দেখা পাওয়া যায় ময়ূরের।

বিশেষ করে সকালে ও বিকেলে ময়ূরের বিচরণের ক্ষেত্রে পরিণত হয় ছাওয়াফালি। তবে বিকেলের দিকেই পর্যটকরা বেশি করে যাচ্ছে ওই এলাকায়। বিকেলে ছাওয়াফেলি থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্য সত্যিই অপরূপ। ময়ূর ও সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখার জন্য এখন ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। মূলত ছাওয়াফেলি এলাকায় যাওয়ার জন্য পর্যটকেরা টোটোকেই ব্যবহার করে থাকেন বেশি। এর ফলে আয়ের মুখ দেখছে টোটো চালকেরাও।

সব মিলিয়ে বর্তমানে পর্যটকদের কাছে নতুন ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে এই ছাওয়াফেলি। এবার গরুমারার পাশাপাশি নতুন বেড়ানোর জায়গা হিসাবে বেছে নেওয়া যেতে পারে ছাওয়াফেলি। লাটাগুড়ি থেকে সোজা নেওড়া জঙ্গল ক্যাম্প পার করে কিছুটা যাওয়ার পরে এই বিশেষ জায়গা। একেবারে মন ভালো করা জায়গা। নেওড়া নদীর কাছেই পড়ে এই জায়গাটি। শীতকাল মানেই পিকনিকের সময়।

[আরও পড়ুনঃ কর্মক্ষেত্রে শুভযোগ নাকি ব্যবসায় অর্থলাভ? জানতে পড়ুন আজকের রাশিফল

আর পিকনিক কিংবা বনভোজন খোলা আকাশে, প্রকৃতির মাঝে হলে তো কথাই নেই। এ দিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বলতেই প্রথমেই মাথায় আসে ডুয়ার্সের কথা। শীতের আমেজ গায়ে মেখে আট থেকে আশি সকলেই মজেছে বছর শেষের ছুটি কাটাতে। ডুয়ার্সের প্রতিটা স্পটে এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ে। আর পিকনিক করতে এবছর বেছে নিতে পারেন ছাওয়াফেলি। এক অন্যরকম অনুভূতি আপনি পাবেন।