Bangla Jago Desk : যে হারে দক্ষিণবঙ্গে গরম বাড়ছে তাতে মনে হচ্ছে পাহাড়ি ডেস্টিনেশনে একটা বাড়ি থাকলে বোধ হয় ভালো হত। তাই নয় কি? দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং এর কাছে এমন অনেক ডেস্টিনেশন আছে যার নাম ও হয়তো অজানা ভ্রমণপিপাসুদের কাছে। মানুষ ইদানিং কালে কোলাহল জায়গায় তেমন একটা যেতে পছন্দ করেন না। আর তেমনি এবার আপনাদের নিয়ে যাব কালিম্পঙের নিঝুম গন্তব্য খারকা গাঁও এ।
নেওরা ভ্যালি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত এই খারকা গাঁও একেবারে শান্ত। যে গ্রামে গিয়ে প্রকৃতির মায়াবী রূপ দেখে আপনার মন জুড়িয়ে যাবে। নেওরা ভ্যালির মধ্যে অবস্থানের জন্য এই গ্রামের চারপাশ ঘেরা রয়েছে সবুজ জঙ্গলে ও পাহাড়ে। সত্যি প্রকৃতির লীলা বোঝা দায়। পাহাড়, ঝর্ণা, জঙ্গল, শীতল আবহাওয়া এই সব কিছু তো প্রকৃতিরই দান। রং তুলি দিয়ে আঁকা মন গড়া পাহাড়ি গ্রামের যেমন ছবি দেখা যায়, এই খারকা গাঁও ঠিক যেন তেমনটাই। কালিম্পং থেকে ২৫ কিমি দূরেই রয়েছে এই গাঁওয়ের অবস্থান। কালিম্পং থেকে খারকা গাঁও যাওয়ার পথে পড়বে ডেলো পাহাড়। এই পাহাড়ের মায়াবী পরিবেশেও আপনি আপনার বন্ধুবান্ধবী বা প্রেমিক প্রেমিকার সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। সত্যি বলতে গেলে শহরে থাকলে তো সবুজ চোখেই দেখা যায়না। কিন্তু ডেলো পাহাড়ের এই সবুজে ঘেরা প্রকৃতির রূপ আপনাকে মুগ্ধ করবে।
এছাড়াও এই খারকা গাঁও থেকে আপনি জাঙ ধক পালরি মনেস্ট্রি ভ্রমণে যেতে পারবেন। খারকা গাঁও থেকে জঙ্গলের ভিতরে যে পাহাড়ি ঝর্নার আছে তা আপনি পায়ে হেঁটে ঘুরে নিতে পারবেন। খারকা গাঁও থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটারের দূরত্বে অবস্থিত একটি পাহাড়ি জলপ্রপাত হল পঞ্চমী। প্রায় ২০০ ফুট উঁচু এই জলপ্রপাত। এই পাহাড়ি জলপ্রপাতে আপনি ট্রেক ও করতে পারবেন। আবার চাইলে মাছ ধরার মজা উপভোগ করে আপনি সেই ছোটবেলায় ফিরে যেতে পারবেন।
এখানে বসতির সংখ্যাও খুব সামান্য। যে কটি বাড়ি রয়েছে সেই বাড়ি গুলির মধ্যেই রয়েছে হোমস্টের ব্যবস্থা। সকালে উঠে সবে মাত্র এই হোমস্টের বারান্দায় বসে আপনি চা পান করছেন, আর শুনছেন পাহাড়ি ঝর্নার শব্দ। একবার শুধু চোখ বন্ধ করে এই দৃশ্যটা ভাবুন। কি ভাবতে ভাবতে মন একেবারে উতলা হয়ে উঠেছে তো জায়গাটি ঘুরে দেখার জন্য। খারকা গাঁও যেতে হলে আপনাকে ট্রেনে করে পৌঁছে যেতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে খারকা গাঁও এর দূরত্ব ৭৮ কিলোমিটার। গাড়ি ভাড়া করে মাত্র আড়াই ঘণ্টাই পৌঁছে যেতে পারবেন খারকা গাঁওয়ে।