ad
ad

Breaking News

AI

এআই বদলে দিচ্ছে কাজের বাজার, বদলে দিচ্ছে কর্মী নিয়োগের পদ্ধতি : কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা ?

বিশ্বজুড়ে যখন মন্দা বা অর্থনীতির গতি শ্লথ হচ্ছে তখন নব প্রজন্মের কর্মপ্রার্থীদের কাছে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে প্রতিযোগিতায় থাকা যোগ্য প্রার্থীরা

How AI is changing the job market and hiring practices, what do experts say?

Bangla Jago Desk : আমাদের দৈন্দিন জীবনে এআই একটি প্রয়োজনীয় অংশ হয়ে উঠেছে। আমরা ক্রমশঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে স্বাস্থ্য,পর্যটন সহ নানা ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর চেষ্টা  করছি।শুধুমাত্র জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা   হল যা জেনারেটিভ মডেল ব্যবহার করে  টেক্সট, ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য ডেটা তৈরি করতে সক্ষম । জেনারেটিভ এআই মডেলগুলি তাদের ইনপুট প্রশিক্ষণ ডেটার  প্যাটার্ন এবং গঠন শিখে এবং তারপরে একই বৈশিষ্ট্যযুক্ত নতুন ডেটা তৈরি করে।সেই জেনারেটিভ এআই এখন শুধু নানান শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে,এমনকি এই সমন্বিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের আলাদা রূপ দিচ্ছে,তবে পুরোটাই নির্ভর করছে প্রযুক্তির ওপর। কাজের বাজারের  ক্ষেত্রে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যতঃ লোক নিয়োগের পদ্ধতিতে আমুল বদল আনছে।তার মাধ্যমে ভবিষ্যত কাজের বাজার নির্ভর করছে বলা যায়। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক শ্লথ গতির কথা চিন্তা করে আমাদের উদ্বেগ হওয়ার যথেষ্ট কারণ হয়েছে। বিশেষ করে  কিভাবে সম্ভাবনাময় কর্মীরা কাজের বাজারে ইন্টারভিউ দেবেন ? এআই প্রবণতা কী ?  কিভাবে প্রক্রিয়ায় কাজ করবে ? এআই কী  বহুবিধ বিষয় বুঝতে পারবে ? এবিষয়ে ইনডিডের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল ম্যানেজার রাজ মুখার্জি জানিয়েছেন,এবিষয়ে গভীরে গিয়ে ভাবতে হবে, কিভাবে এআই কাজের বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কর্মপ্রার্থী এবং কাজের বাজারের মালিকপক্ষকে এর প্রভাব নিয়ে ভাবতে হবে। কিভাবে এআই নিয়োগের প্রক্রিয়াকে পরিবর্তিত করছে ?

বর্তমান শ্রম ও দক্ষ কর্মীর ঘাটতি মোকাবিলায় এআই মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। ২০২৩-র ব্যবসায়িক গতিপ্রকৃতির কথা তুলে ধরে তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে রাজ মুখার্জি জানিয়েছেন, ট্যালেনটেড কর্মী খুঁজে তাঁদের জায়গামতো কাজে লাগানো বেশ চ্যালেঞ্জের।একমাত্র এআই এই বিষয়ে বড় সাহায্য করতে পারে।এরমধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির মানব সম্পদ ও মেধাবী কর্মীদের কাজে লাগানোর টিম  এআইকে কাজে লাগানোর জন্য ময়দানে নেমে পড়েছে। ধরা যাক,স্ক্রিনিং করা বা প্রারম্ভিকভাবে প্রার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে ,সেখানেও এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কামাল করে দিচ্ছে তার ভূমিকা পালনে। এমনকি এই  এআই সাক্ষাত্কারের প্রশ্ন তৈরি থেকে কর্মীদের নিয়োগের প্রক্রিয়াও একযোগে সম্পন্ন করছে। আর এই পদ্ধতিতে নিয়োগ হওয়ায় তা দ্রুততর হচ্ছে,একইসঙ্গে ট্যালেন্টদের কাজে লাগানোর পদ্ধতিও নিশ্চিত হচ্ছে।  একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন,এআই নির্ভর আগামীর বিশ্লেষকরা শ্রমশক্তির ব্যবহার নিয়েও আভাস দিতে পারে। যার মধ্যে দক্ষতার ফাঁক ফোকরগুলো পূরণ হতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাজের ব্যপ্তি আরও বিস্তৃত।নতুন প্রজন্মের পড়ুয়া থেকে প্রশিক্ষণরত কর্মীরাও এই বিজ্ঞাণের উপহার  কাজে লাগিয়েছেন। নিয়োগকারী সংস্থাগুলো এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে পুরোমাত্রায় চায়।দু দশক ধরে তারা এই প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যেতে তত্পর। এআইয়ের বড় সুবিধা হল, মৌলিক কি বোর্ডের বাইরেও কাজ করতে সক্ষম এই অত্যাধুনিক সিস্টেম। তাই বিশেষজ্ঞের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তিনি জানিয়েছেন এআই শুধু সময় বাঁচাচ্ছে না,কর্মপ্রার্থী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে সাযুজ্য বিধান করছে। যার জন্য নিয়োগের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতিও হচ্ছে।২০২৪ই হতে চলেছে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে এআই নির্ভর বছর।

চিরাচরিত নিয়োগ পদ্ধতিতে কী বদল আসছে ?





চিরাচরিত কাজের বাজারের সঙ্গে এআইয়ের সংযোজন কর্মক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন আনছে। এআই এখন তথ্যের ওপর নির্ভরশীল,সেই তথ্য মানুষের সূত্রেই আসে। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে তথ্য চয়নে পক্ষপাত হতে পারে। মেশিন লার্নিং বায়াস, যা অ্যালগরিদম বায়াস বা এআই বায়াস নামেও পরিচিত।এখানে একটি ঘটনা ঘটে যখন একটি অ্যালগরিদম এমন ফলাফল তৈরি করে যা মেশিন লার্নিং প্রক্রিয়ায় ভুল অনুমানের কারণে পদ্ধতিগত পক্ষপাতিত্ব করতে পারে। কাজের বাজারে এআইয়ের প্রয়োগ ও ব্যবহার লক্ষ্যনীয়ভাবে বাড়ছে।এই সামগ্রিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত বিশেষজ্ঞও প্রয়োজন হচ্ছে। যেভাবে তথ্যপ্রযুক্তিতে তথ্য সুরক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞ লাগে সেভাবেই এই এআই পরিচালিত কর্মী নিয়োগ ও দক্ষতা বৃদ্ধির কাজেও পারদর্শি ব্যক্তিত্বদের প্রয়োজন পড়ছে।

যাঁরা কাজ খুঁজছেন তাঁদের জন্য রাজ মুখার্জির পরামর্শ কী ?

অবশ্যই কর্মপ্রার্থীদের জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ,উদ্দেশ্যসাধনের লক্ষ্যে কিবোর্ড রপ্ত করতে হবে,তুলে ধরতে হবে বিশ্বাসযোগ্য শক্তি,এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করাই হল মৌলিক কৌশল,কাজের বাজারে সুযোগ তৈরির জন্য। এআই সিস্টেম নির্ভরশীল মূলতঃ তথ্যের সংযোজন হাইলাইটস করে।যার জন্য কর্মপ্রার্থীরা প্রয়োজনীয় সুবিধা পাবে।কিবোর্ড বাছার সময় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এআই যাতে তা স্ক্যান করতে পারে।

দ্বিতীয়তঃ কিবোর্ড যাতে প্রাথমিক স্ক্রিনিং করতে পারে সেজন্য লক্ষ্য রাখা দরকার, অভিনব দক্ষতা গড়ে তোলার জন্য। কিছু কিছু এআই আবার ভাষার বিশ্লেষণও করতে পারে।যদি আপনি এই জগতে এগিয়ে যেতে চান, তাহলে প্যাশনের প্রতি হাইলাটস করতে হবে। কন্ঠস্বরের নিখুঁত নমুনা তুলে  ধরতে পারলে আপনি কার্যকরী  কর্মনিয়োগকারীদের কাছে যোগ্য হয়ে উঠতে পারে। এই দুটি  প্রচেষ্টা সাফল্য লাভ করলে আপনি চাকরির ইন্টারভিউতে উন্নতি করবেন।

বিশ্বজুড়ে যখন মন্দা বা অর্থনীতির গতি শ্লথ হচ্ছে তখন নব প্রজন্মের কর্মপ্রার্থীদের কাছে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে প্রতিযোগিতায় থাকা যোগ্য প্রার্থীরা। সীমিত সুযোগ মধ্যে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টাও করছেন অনেকে।রাজ মুখার্জি বলছেন,এই এআই  নির্ভর কাজের বাজারই এরজন্য একমাত্র দায়ী নয়। তাঁর মতে অর্থনৈতিক মডেলের পরিবর্তন,শিল্প ভিত্তিক চাহিদা বৃদ্ধি এবং ভৌগলিক ব্যবধানও এই অর্থনীতির গতি শ্লথের কারণ।