Bangla Jago Desk : সারাদিনের ব্যস্ত জীবন থেকে একটু বিরতি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসতে কার না মন চায়, কিন্তু যাবেন টা কোথায় তা নিয়ে এতো চিন্তা? চিন্তা করবেন না, ঘুরে আসুন ডালিমখোলা থেকে। দার্জিলিং জেলার মধ্যে অবস্থিত ও গরুবাথান ব্লকের অন্তর্গত এই পাহাড়ি উপত্যকায় গেলে এই অস্বস্তিকর গরম থেকে আপনি শান্তি পাবেন তো বটেই পাশাপাশি প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
পাহাড়ে যাওয়ার নেশা ভ্রমনপিপাসুদের পিছু ছাড়ে না। পাহাড়ে যাওয়া মানেই সেই যাত্রা হয়ে ওঠে রোমাঞ্চ ও অ্যাডভেঞ্চারে ভরা। কলকাতার কাছে পাহাড় বলতেই মাথায় ঘুরপাক করে দার্জিলিং, কালিম্পং ও ডুয়ার্সের কথা। কিন্তু আপনি যদি চান এইসব জায়গা ছেড়ে একটু অফবিট ডেস্টিনেশনের দিকে যেতে তাহলে যেতে পারেন ডালিমখোলায়। দার্জিলিং জেলার মধ্যে অবস্থিত গরুবাথান ব্লকের অন্তর্গত একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম হল ডালিম খোলা। এই অপূর্ব পাহাড়ি উপত্যকা শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য না লুকিয়ে রয়েছে অনেক অজানা ইতিহাস। ডালিম খোলাতেই রয়েছে ডালিম ফোর্ট। বহু প্রাচীন কালে এখানে নাকি শাসন করতেন লেপচা রাজা গেইবো আচিওক। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই দুর্গের উচ্চতা ১০০০ ফুট। তবে বর্তমানে ওই অঞ্চল জুড়ে পড়ে রয়েছে দুর্গের ধ্বংসাবশেষ।
শুধু এই ফর্টই নয়, এখানকার শ্বাসরুদ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে আপনার মন প্রাণ ভোরে উঠবে। মেঘে ঢাকা এই পাহাড়ি পরিবেশের মায়ায় দীর্ঘক্ষণ সময় কাটাতে আপনার মন্দ লাগবে না। দূরের সবুজে ঘেরা পাহাড়ের গায়ে সূর্যের আলো এসে পড়লে পাহাড়ের সৌন্দর্য যে আরও অপরূপ হয়ে ওঠে তা বলাই বাহুল্য। কেবল পাহাড়ি সৌন্দর্য দেখেই যে ডালিম খোলায় এসে মন ভরাতে হবে তা একদম নয়। পাশ দিয়েই কুলুকুলু ধ্বনি রবে বয়ে চলেছে ডালিমখোলা নদী। যে নদীর পাড়ে বসে দূরের পাহাড় থেকে সূর্যাস্ত দেখলে আপনার আর বাড়ি ফিরে যেতে মন চাইবেনা। মনে হবে প্রতিদিন এই নদীর ধারে বসে পাহাড়ের কোল থেকে সূর্যোদয় বাঁ সূর্যাস্ত দেখি। পাহাড় মানেই সেখানে থাকবে নানা অজানা পাখির আনাগোনা। রয়েছে নানা রংবে রঙের ফুলও। কি ভাবছেন যাবেন নাকি? ট্রেনে করে পৌঁছে যেতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে গাড়িভাড়া করে দিব্যি পৌঁছে যেতে পারবেন ডালিমখোলায়। থাকার জন্য এখানে পেয়ে যাবেন হোমস্টের ব্যবস্থা। তাই দেরি না করে সামনের গরমের ছুটি পড়লেই ঘুরে আসুন এই ছোট্ট পাহাড়ি উপত্যকা থেকে।