Bangla Jago Desk : গরমে পুড়ছে বাংলা এই আবহে শীতল হাওয়া গায়ে মেখে চোখের সামনে পাহাড়, নদী ও জঙ্গের দৃশ্য উপভোগ করতে চান? তাহলে আপনাকে সিটং টুর অন্যতম সেরা অজানা গন্তব্য যোগীঘাট থেকে ঘুরে আসতে হবে। সপ্তাহান্তের ছুটিতে তাই পৌঁছে যান এই ছবির মত সুন্দর পাহাড়ি গন্তব্যে।
অনেকের ধারনা পাহাড়ি সব ডেস্টিনেশনের লিস্ট এবার শেষ। আরে ভুল করছেন, উত্তরবঙ্গের অজানা গন্তব্যের লিস্ট কখনও শেষ হতে পারে না। আজ আপনাদের নিয়ে যাব উত্তরবঙ্গের কোলে জঙ্গল, পাহাড় ও নদী দ্বারা বেষ্টিত এক ছোট্ট গ্রাম যোগীঘাটে। অনেকেই ঘিঞ্জির জন্য দার্জিলিঙে যেতে চান না। দার্জিলিং এর পাশেই রয়েছে সিটং। সিটং দুই ভাগে বিভক্ত। সিটং ওয়ান এবং সিটং টু। এই সিটং টুর মধ্যে অবস্থিত যোগীঘাট ছবির মত সুন্দর। সত্যি মানুষ যে কেন নিজের সুন্দর রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যের পাহাড় ও নৈসর্গিক দৃশ্যের লোভে পড়ে ঘুরতে যান তা বোঝা দায়। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই একটু খুঁজলে প্রকৃতির মাধুর্যে পরিপূর্ণ জায়গার অভাব নেই।
যোগীঘাট সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত। বিস্তীর্ণ চা বাগান আর কমলা লেবুর বাগানে ভর্তি এই পাহাড়ি উপত্যকা। যোগীঘাট সিটং এর নিচের দিকে অবস্থিত। এই যোগীঘাটই কার্শিয়াং পাহাড় ও মংপুর পাহাড়কে সংযুক্ত করেছে। এই গ্রামের একপাশ দিয়ে ছোট বড় পাথরের মধ্যে রিয়াং নদী প্রবাহিত হওয়ার সময় ধাক্কা খায় এই সমস্ত পাথরের গায়ে। এই রিয়াং নদীর উপরেই রয়েছে একটি সেতু। যে সেতুর এক পাশে দাঁড়িয়ে আপনি নদী ও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। যোগী ঘাটের মায়াবী প্রকৃতির সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে এখানকার শরগাছের বন। পাহাড়ের ধাপে ধাপে এখানে চাষ আবাদ হয়ে থাকে। খুব কম সংখ্যক জনবসতি রয়েছে এখানে। মংপুর পাহাড়ে সিঙ্কোনা গাছের চাষও দেখতে পাবেন।
এখানে ব্রিটিশ আমল থেকেই সিঙ্কোনা চাষ হয়। রিয়াং নদীর চারপাশ সবুজে ঘেরা এখানে আপনি চাইলে পিকনিক করতে পারবেন। যোগীঘাটে যে কম সংখ্যক বাড়ি রয়েছে সেই বাড়ি গুলির মধ্যেই হোমস্টের ব্যবস্থাও রয়েছে। তাই রাত্রি যাপনের ক্ষেত্রে আপনার কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। প্রকৃতির এই অপূর্ব সৌন্দর্যে ঘেরা এই গন্তব্যকে নিজের চোখের সামনে দেখতে চাইলে আপনাকে পৌঁছে যেতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি। আবার আপনি শিলিগুড়ি হয়েও গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারবেন যোগীঘাটে।