ad
ad

Breaking News

Tourism

Tourism: গরমের ছুটিতে শহুরে কোলাহলের মাঝে দু দণ্ড শান্তি চাই? তাহলে গন্তব্য হোক সালুগাড়া মনেস্ট্রি

পাহাড়ে গিয়ে শীতল হাওয়ায় গা দোলানো ছাড়াও যদি সকালের ঘুম টাই ভাঙে পাশে থাকা কোন বৌদ্ধ মন্দিরের ঘণ্টার আওয়াজে তাহলে কেমন হয়?

Let's take a tour from Salugara Monastery

Bangla Jago Desk : পাহাড় মানেই যে কেবল সেখানে পাহাড়, জঙ্গল, ঝর্ণা, নদী থাকবে তাই নয়, রয়েছে সুন্দর কারুকার্য সম্পন্ন নানা বৌদ্ধ মন্দির। এই রকম এক বৌদ্ধ মনেস্ট্রিতে আজ আপনাদের নিয়ে যাব। আর সেটি হল শিলিগুড়ি শহর থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে। তাই দেরি না করে ছুটি পেলেই এবারের গন্তব্য হিসাবে অবশ্যই বেছে নিন সালুগাড়া মনেস্ট্রি ।

পাহাড়ে গিয়ে শীতল হাওয়ায় গা দোলানো ছাড়াও যদি সকালের ঘুম টাই ভাঙে পাশে থাকা কোন বৌদ্ধ মন্দিরের ঘণ্টার আওয়াজে তাহলে কেমন হয়? এই অভিজ্ঞতা আপনি পেয়ে যাবেন শিলিগুড়িতে গেলে। ভারতের উত্তর পূর্ব অঞ্চলের রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগের মূল কেন্দ্রবিন্দু শিলিগুড়ি। মহানন্দা নদীর পশ্চিমে ও দক্ষিণ হিমালয়ের নিচের অংশ হল শিলিগুড়ি। আর এই শিলিগুড়িতেই রয়েছে একটি জনপ্রিয় বৌদ্ধ মন্দির। যার নাম সালুগাড়া মনেস্ট্রি। শিলিগুড়ি শহর থেকে ৬ কিমি দূরেই রয়েছে এই সালুগাড়া মনেস্ট্রি। যারা শিলিগুড়ি ঘুরতে আসেন তারা এই বৌদ্ধ মনেস্ট্রিতে এসে ভিড় করেন। কথায় বলে মন্দির, মসজিদ অথবা মনেস্ট্রি যে পবিত্র স্থানেই আপনি যাবেন সেখানে গিয়েই আপনার মন চঞ্চল থাকলে ঈশ্বরের নাম নিলেই তা ক্রমশ শান্ত হয়ে উঠবে। এই বৌদ্ধ মনেস্ট্রির পরিবেশ একেবারে নিরিবিলি নির্জনতায় ভরা। এক বিশাল আকৃতির সুন্দর কারুকার্য পূর্ণ গেট পেরিয়ে বৌদ্ধ মনেস্ট্রিতে প্রবেশ করতে হবে আপনাকে। ঢুকেই দেখবেন সাদা রঙের মন্দিরের গায়ে লেখা রয়েছে  তিব্বতি ভাষা উচেন হরফে নানা স্তোত্র। সুউচ্চ এক স্তম্ভ রয়েছে মন্দিরের চূড়ায়। যার উচ্চতা প্রায় ১০০ ফুট লম্বা। সেই স্তম্ভের নিচেই রয়েছে সোনালী রঙের এক ছোট্ট বুদ্ধ মূর্তি। গেট পেরিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে গিয়েই সবার প্রথম আপনার চোখ যাবে এই ছোট বুদ্ধের দিকে। পুরো মনেস্ট্রিটাই অসাধারণ নকশা করা। বেশ কয়েকটি কক্ষ রয়েছে এই মনেস্ট্রিতে।

এই কক্ষ গুলির মধ্যে রয়েছে প্রার্থনা গৃহ, প্রদীপ গৃহ আবার যেসমস্ত বাচ্চারা বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মাবলম্বী তাদের পড়াশোনার জন্য রয়েছে একটি আলাদা কক্ষ। সাদা এই মন্দিরের সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে যে কক্ষটি প্রথমে পড়বে সেখানে দেখবেন বিশাল বড় বৌদ্ধ মূর্তি। ওই বৌদ্ধ মূর্তির কাছেই রয়েছে একটি বড় ঘণ্টা। প্রার্থনা করার সময় বাজানো হয় এই ঘণ্টা। মন্দিরের বাইরের কারুকার্যয়ের চাইতে ভিতরের কারুকার্য দেখে আপনি বেশি মুগ্ধ হবেন। মন্দিরের পুরো চত্বরেই সারি দিয়ে বৌদ্ধের ছবি চিত্রিত করা আছে। প্রত্যেকটি চিত্র প্রত্যেকটির থেকে আলদা। এই চিত্র গুলি দেখলে মনে হবে বৌদ্ধের জীবন গাথা শোনাচ্ছে চিত্র গুলি। এখানে দেখবেন বিশাল বড় একটি প্রার্থনা চক্র। এই চক্র ঘোরাতে ঘোরাতে আপনি আপনার মনের ইচ্ছের কথা জানাতে পারেন বুদ্ধকে। বৌদ্ধ মনেস্ট্রি নামেই সেখানে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের আনাগোনা লেগেই থাকে। এই  মনেস্ট্রিতেও আপনি দেখবেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা একসঙ্গে বসে নানা ধরনের যন্ত্র বাজিয়ে প্রার্থনা করছে। শিলিগুড়িতে পেয়ে যাবেন বহু হোটেল। তাই ট্রেনে করে শিলিগুড়ি পৌঁছে এবার ঘুরে আসুন এই বৌদ্ধ মনেস্ট্রি থেকে।