Bangla Jago Desk: কখনও বৃষ্টি আবার কখনও রোদ ঝলমলে আবহাওয়া। এই আবহাওয়াতে সর্দি কাশি হওয়া স্বাভাবিক ব্যপার। সর্দি কাশির জন্য অনেকের জ্বর ও হচ্ছে এই আবহাওয়ার কারণে। এই জ্বরে মুখে কিছু খাওয়ার স্বাদ পাওয়া যায়না। এই সময় একটা দ্বিধা বোধ থাকে যে ভাত খাবে না রুটি। বাড়িতে ঠাম্মা দিদিরা এখনও বলেন জ্বর হলে ভাত খাওয়া উচিত নয়। হাতে করা রুটি সবচেয়ে ভালো। কিন্তু বাঙালিদের মন বলে কথা, ভাত ছাড়া দুপুর হোক কিংবা রাত, কোন সময় অন্য কিছু খেতে ভালো লাগেনা। চিকিৎসকদের মতে জ্বর হলে যে ভাতের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে এমনটা নয়, জ্বর হলে শরীর একেই দুর্বল হয়ে পড়ে। খাওয়ার দেখলেই গা গুলিয়ে আসে। এই সময় যদি কম খাওয়া হয় তাহলে শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। জ্বর হলে এমন কিছু খেতে হবে যা শরীরে পুষ্টির জোগান দেবে। তাই সেই দিক থেকে রুটির চাইতে ভাত খাওয়ায় শ্রেয় বলে মনে করেছেন চিকিৎসকেরা।
ভাতে রয়েছে সোডিয়াম গ্লুটেন। ভাতে এমন কিছু থাকেনা যার জেরে আপনার কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেতে পারে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকেনা। ভাতের মধ্যে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। যা শরীরকে শক্তি ও পুষ্টির জোগান দেয়। তবে ভাত খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। একসঙ্গে অনেক বেশি ভাত খেলে চলবেনা। ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ করে ভাত। চিকিৎসকদের মতে খুব বেশি সরু চালের ভাত খাওয়া উচিত নয়। জ্বর হলে একটু গলা ভাত খাওয়ায় ভালো শরীরের পক্ষে। ভাত যদি ঝরঝরে করে ভালো করে ফ্যান ঝরিয়ে খান তাহলে বেশির ভাগ ক্যালসিয়াম বেরিয়ে যাবে শরীর থেকে। খুব বেশি সরু চালের ভাত খেলে শরীরে সঠিক পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজের পরিমাণ প্রবেশ করবেনা।
চিকিৎসকদের মতে জ্বরের সময় কম তেল মশলা যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। এই সময় শাক সবজি বেশি করে খাওয়া উচিত। এই সময় সবজি তেলে ভেজে না খেয়ে সিদ্ধ করে খান। জ্বর হলে বাইরের রাস্তার খাবার ছুঁয়ে দেখাও উচিত নয়। একদম বাড়িতে ঘরোয়া রান্না করা খাবারই খেতে হবে আপনাকে।