চিত্র- প্রতীকী
Bangla Jago Desk: আমরা অনেকেই মনে করি, ফুসফুস ক্যান্সার মানেই ধূমপানের ফল। তবে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো বলছে, ধূমপান না করেও অনেকের ফুসফুস ক্যান্সার হচ্ছে। বর্তমানে ১০-৩০% ফুসফুস ক্যান্সারের রোগী কখনো ধূমপান করেননি।
কেন বাড়ছে ধূমপানবিহীন ফুসফুস ক্যান্সারের সংখ্যা?
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধূমপান না করেও ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের নন-স্মল সেল কারসিনোমা ধরা পড়ে, যার একটি প্রধান ধরন অ্যাডেনোকারসিনোমা। এটি সাধারণত বংশগত কারণে নয়, বরং একটি অনাকাঙ্ক্ষিত জেনেটিক পরিবর্তনের ফলে হয়।
এই বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি মূল কারণ হলো—
বায়ু দূষণ: দীর্ঘদিন ধরে দূষিত বাতাসে শ্বাস নিলে ফুসফুসের টিস্যু নষ্ট হতে পারে।
সেকেন্ড-হ্যান্ড স্মোক বা পরোক্ষ ধূমপান: বাড়ি, কর্মস্থল বা রেস্তোরাঁর মতো বদ্ধ পরিবেশে যদি কেউ নিয়মিত ধূমপানের ধোঁয়ার সংস্পর্শে থাকেন, তাহলে তার ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
জেনেটিক কারণ: কিছু ক্ষেত্রে পারিবারিক জিনগত পরিবর্তনও ফুসফুস ক্যান্সারের জন্য দায়ী হতে পারে।
দ্রুত শনাক্তকরণ ও সময়মতো চিকিৎসার গুরুত্ব
ফুসফুস ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো ধূমপায়ী ও অ-ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে একই রকম হতে পারে, যেমন—
এগুলো অনেক সময় সাধারণ অসুস্থতা মনে হতে পারে, ফলে ক্যান্সার শনাক্ত হতে দেরি হয়। অথচ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ফুসফুস ক্যান্সার চিকিৎসায় ভালো ফল পাওয়া যায়।
আধুনিক চিকিৎসায় ক্যান্সার এখন নিয়ন্ত্রণযোগ্য
ফুসফুস ক্যান্সার এখন আর শুধুমাত্র ধূমপায়ীদের রোগ নয়। তবে আশার কথা হলো, আধুনিক চিকিৎসায় এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বর্তমানে সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি, টার্গেটেড ড্রাগ থেরাপি ও ইমিউনোথেরাপির মতো উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে।
প্রতিদিনের ছোট ছোট সচেতনতার মাধ্যমেই আমরা ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারি। তাই দূষিত পরিবেশে মাস্ক পরা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো এবং সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।