ছবিঃ সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: কারি পাতা দিয়ে রান্না করার চল রয়েছে দক্ষিণী খাবারে। কারি পাতা দিয়ে তৈরি রান্নার স্বাদ হয় অন্যরকম। যেমন স্বাদ তেমন এই পাতা ব্যবহার করলে রান্নায় এক আলাদা গন্ধ পাওয়া যায়। এই কারিপাতার মধ্যে রয়েছে বহু স্বাস্থ্যগুণ। ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন এই সমস্ত উপাদান একসাথে পাওয়া যায় এই পাতায়। কারি পাতা খেলে পেটের নানা সমস্যা, হজমের সমস্যা এমনকি শরীরের মেদ ঝরাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জলে মিশিয়েও কারি পাতা খাওয়া যায় ডিটক্স পানীয় বানিয়ে।
হার্টের সমস্যায় – কারিপাতা যদি নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মতো সমস্যা থাকে নিয়ন্ত্রণে।
ডিটক্সিফিকেশন – শরীরের মধ্যে জমে যাওয়া টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে কারি পাতা। শরীরে এই দুষিত টক্সিন দূর করতে পারলে পেটের সমস্যা দূর হয়, ত্বক চুলের সমস্যাও নিরাময় হয়। এমনকি যদি কেউ মোটা হয়ে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রেও কারি পাতার গুরুত্ব অপরিসীম। এই পাতা খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।
হজমে সহায়ক – হজমের গণ্ডগোলে সবাই ভোগেন। অনেকেই এই সমস্যার জন্য মুঠো মুঠো খেয়ে নেন ওষুধ। তবে খেতে পারেন কারি পাতা ভেজানো জল। এই পাতা খেলে পেটের যে কোন সমস্যা দূর হয়। এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দূর হয় কারিপাতা।
ওজন নিয়ন্ত্রণ – কারি পাতায় রয়েছে কারবাজোল এবং অ্যালকালয়েড্স। এই উপাদান শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে বিশেষ ভাবে সক্ষম। এই পাতা খেলে ডায়েট এবং শরীরচর্চার পাশাপাশি সকালে খালি পেটে বা রান্নায় নিয়মিত কারিপাতা খেলে মেদ ঝরবে দ্রুত।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ – কারি পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এই পাতা কিডনিতে যে কোন ধরনের ক্ষতিতে হলে সেক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে।