Bangla Jago Desk, মৌ বসু: রক্তের লোহিত কণিকায় গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন হিমোগ্লোবিন পাওয়া যায়। এই হিমোগ্লোবিন প্রোটিনই শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। হিমোগ্লোবিন রক্তে কমে গেলে ক্লান্তিভাব, দুর্বলতা, নিঃশ্বাসের কষ্টের মতো সমস্যা দেখা যায়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে রিপোর্টে বলা হয়েছিল, দেশে ১৫-৪৯ বছর বয়সি ৫৭% মহিলা আর ৬-৫৯ মাস বয়সি শিশু অ্যানিমিয়ায় ভুগছে। শিশুদের ১১-১৩ gm/dl, পুরুষদের ১৪-১৪ gm/dl, মহিলাদের ১২-১৬ gm/dl, বয়স্ক পুরুষদের ১২.৪-১৪.৯ gm/dl, বয়স্ক মহিলাদের ১১.৭-১৩.৮ gm/dl স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের মাত্রা।
কোন কোন খাবার খেলে বাড়বে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা?
১) ব্রকোলি, সর্ষে শাকে ও পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে লোহা, ফোলেট ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায় যা রক্তের লোহিত কণিকা বাড়ায়।
২) বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে লোহা আর ফলিক অ্যাসিড থাকে যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়।
৩) মুসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও লোহা আছে। তাই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে মুসুর ডাল খান।
৪) বেদানায় প্রচুর পরিমাণে লোহা, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়।
৫) আমন্ড বাদাম, খেজুর, কাঠ বাদামে লোহা, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম পাওয়া যায়।
৬) তরমুজে, আঙুরে, আপেলে প্রচুর পরিমাণে লোহা আর ভিটামিন সি আছে। ভিটামিন সি লোহা শুষে নিতে সাহায্য করে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়।
৭) তিলে, কুমড়োর দানায় লোহা, তামা, ভিটামিন বি৬ মেলে।
৮) লোহা, তামা, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে।
৯) কড়াইশুঁটি, বিনস, সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে লোহা আছে যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়।
১০) রক্তের পরিমাণ ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে।
১১) পাঁঠার মাংসে হিম আয়রন থাকে যা হিমোগ্লোবিনের নিঃসরণে সাহায্য করে।