Bangla Jago desk: প্রত্যেক দিন সকালে উঠে অফিস যাচ্ছেন। অফিসে যাওয়ার সময় নির্দিষ্ট হলেও বেরোনোর সময়ের কোন নির্দিষ্টতা থাকেনা। দ্রুত গতিতে কাজ সেরে টাইমের মধ্যে জমা দিতে হবে কাজ। তার জন্য খাওয়া দাওয়া ভুলে গিয়ে এক ভাবে চেয়ারে বসে ল্যাপটপের সামনে সোমানে কাজ করে যাচ্ছেন। এক ভাবে টাই এইভাবে বসে থাকতে থাকতে শরীর ভারী হয়ে যায় অনেকের। শরীরের পেশি গুলি শিথিল হয়ে পড়ে। কোমরে জমা হতে থাকে মেদ। এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকখানি। কিন্তু কিছু করার নেই, কাজের চাপে একভাবে বসে থেকে টুকটুক করে কাজ করা ছাড়া কোন উপাই নেই। একমাত্র কাজের মধ্যে থেকে ৫ টি নিয়ম মেনে চললেই তবেই একটানা এই ভাবে বসে থাকা আপনার শরীরে কোন এফেক্ট ফেলবেনা। জানুন সেই ৫ উপায় সম্বন্ধে।
১) এক টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা যাবেনা। কাজের যতই চাপ থাকুক না কেন ৫ মিনিটের জন্য হলেও একবার করে উঠে দাঁড়িয়ে অফিসের ভিতরেই একটু হাঁটা চলা করুণ। প্রথম প্রথম হাঁটা চলা করার কথা মনে থাকবেনা। তার জন্য নিজের ফোনে সেট করে রাখুন অ্যালার্ম।
২) শরীরকে ফিট রাখতে গেলে কিছুক্ষণ সময় হলেও নিজের জন্য সময় বের করতে হবে। জলের ঘাটতি যাতে শরীরে না হয় তার জন্য কাজের মধ্যে থেকেও বেশি করে জল খেতে হবে আপনাকে। ভুলে গেলেও মনে করে আপনাকে জল খেতে হবে। জলের কমতি হলে শরীরে অনেক সমস্যা হবে আপনার। ডিহাইড্রেশনের মত সমস্যা হলে শরীরে ক্লান্তি আসবে এমনকি কাজও ঠিক মত করে উঠতে পারবেন না।
৩) কাজের মাঝে অনেকেই আছেন যাদের বার বার খিদে পায়। এই খিদে মেটাতে অনেকে খেয়ে নেন রোল চাউমিন থেকে শুরু করে পরোটার মত পুরো তেলের মধ্যে ডোবানো খাবারগুলি। কিন্তু তা খেলে মোটেই চলবে না। বরং এতে আরও শরীরের ক্ষতি করছেন আপনি। তাই টুকটাক খিদে মেটাতে খেয়ে নিন ফল, দই, ড্রাই ফ্রুটের মত খাবার।
৪) একটানা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করা ঠিক নয়। এইভাবে কাজ করতে থাকলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। নিজের চোখের যত্ন নিতে চাইলে আপনাকে ‘ব্লু রে প্রোটেক্টর’ চশমা ব্যবহার করতে হবে। মাঝে মধ্যে অভ্যেস করুন, দূরের কোন বন্ধুর দিকে তাকানোর। এতে আপনার চোখের দৃষ্টি শক্তি বেশি হবে।
৫) একটানা কাজের চাপে থাকতে গিয়ে মানসিক ভাবেও চাপ বাড়ছে আপনার। মানসিক চাপ একবার গ্রাস করলে সেই চাপ থেকে মুক্ত হওয়া খুব সহজ ব্যাপার নয়। অফিসের কাজ অফিসেই সেরে আসবেন, বাড়ি নিয়ে কখনই যাবেন না। এতে মানসিক ভাবে আপনি অশান্তিতে ভুগবেন। অফিসে থেকে বাড়িতে এসে প্রাণায়াম করুন এতেও অনেকটা মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে শান্তি পাবেন আপনি।