ad
ad

Breaking News

Bloomscrolling

Bloomscrolling: বন্ধ করুন Doomscrolling! মানসিক চাপ কমাতে এই নতুন ‘Bloomscrolling’ অভ্যাসটি কী?

এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম - সকলের মধ্যেই এই অভ্যাস একটি আধুনিক আসক্তির মতো চেপে বসেছে।

Bloomscrolling The Positive Alternative to Doomscrolling

চিত্রঃ সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: অনলাইন দুনিয়ায় স্ক্রোল করতে করতে কখন যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হয়ে যায়, তা টেরও পাওয়া যায় না। বিশেষ করে, যখন ব্যবহারকারীরা একের পর এক নেতিবাচক বা হতাশাজনক খবর দেখতে থাকেন, তখন এই অভ্যাসকে বলা হয় ডুমস্ক্রোলিং (Doomscrolling)। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম – সকলের মধ্যেই এই অভ্যাস একটি আধুনিক আসক্তির মতো চেপে বসেছে। এই অভ্যাস যে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তা নিয়ে নতুন করে বলার নেই। তবে, সম্প্রতি এই ক্ষতিকর অভ্যাসের বিপরীতে একটি নতুন এবং আশাবাদী প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে: ব্লুমস্ক্রোলিং (Bloomscrolling)। ইন্টারনেটে সুস্থ থাকার এটি নতুন উপায়, যা ডুমস্ক্রোলিং-এর একটি মননশীল ও ইতিবাচক বিকল্প হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে (Bloomscrolling)।

আরও পড়ুনঃ Subhashree Ganguly: প্রমাণ করতে হয় প্রতিটা চরিত্রে’: সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন শুভশ্রী

ডুমস্ক্রোলিং-এর অন্ধকার অতল গহ্বরে ডুবে না গিয়ে, ব্লুমস্ক্রোলিং মানুষকে উৎসাহিত করে আনন্দদায়ক, অনুপ্রেরণামূলক এবং সৃজনশীল সামগ্রী দিয়ে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ফিড ভরিয়ে তুলতে। ব্লুমস্ক্রোলিং হলো সজ্ঞানে ইতিবাচক ও অর্থবহ অনলাইন সামগ্রী দেখার একটি প্রক্রিয়া—যা মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য একটি সচেতন প্রচেষ্টা। এর লক্ষ্য কেবল স্ক্রোলিং-এ নিজেকে ডুবিয়ে রাখা বা বাস্তব থেকে পালানো নয়, বরং একটি এমন ডিজিটাল জগৎ তৈরি করা, যা মনে ভালো লাগা সৃষ্টি করে। মনোবিজ্ঞানীরা একে “ডিজিটাল আত্ম-যত্ন” (Digital Self-care)-এর একটি রূপ বলে অভিহিত করেন, যা ক্রমাগত খারাপ খবর বা ক্ষতিকর পোস্টে আসক্ত হওয়ার ফলে সৃষ্ট মানসিক ক্লান্তি ও উদ্বেগ মোকাবিলায় সাহায্য করে।অ্যাপোলো হসপিটালস, নভি মুম্বাই-এর বিশেষজ্ঞ ডঃ ঋতুপর্ণা ঘোষ বিশ্বাস করেন, ব্লুমস্ক্রোলিং সত্যিই মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, “যখন আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে ইতিবাচক, মন-উৎফুল্লকারী সামগ্রী খোঁজেন—তা সে ভালো খবরই হোক, কিউট পশুদের ভিডিও হোক, অথবা প্রকৃতির ছবি—তখন আপনি আপনার মস্তিষ্ককে এক পরিকল্পিত ইতিবাচকতার খাদ্য সরবরাহ করছেন।” স্নায়ুবিজ্ঞানও এই ধারণাকে সমর্থন করে: ইতিবাচক সামগ্রী দেখলে মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসরণ হয়, যা আনন্দ এবং শান্ত থাকার অনুভূতি বাড়ায় (Bloomscrolling)।

Bangla Jago fb page: https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial

বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্যকরভাবে ব্লুমস্ক্রোলিং করতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে স্ক্রোলিং-এর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া এবং প্রতিদিন অন্তত একটি নতুন ইতিবাচক অ্যাকাউন্ট ফলো করা। একই সঙ্গে যে ফিডগুলি মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে, সেগুলিকে মিউট (mute) করে দেওয়া উচিত। মূল বিষয় হলো সজ্ঞানে এই কাজটি করা—অর্থাৎ নিষ্ক্রিয়ভাবে কিছু দেখার পরিবর্তে মনোযোগী হয়ে স্ক্রোলিং করা। তবে মনোবিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে, ইতিবাচক সামগ্রী দেখলেও অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম কিন্তু এখনও ডিজিটাল ক্লান্তি এবং উদ্বেগের কারণ হতে পারে। ব্লুমস্ক্রোলিং হয়তো বাস্তব জীবনের সুখের বিকল্প হতে পারে না, কিন্তু এটি একটি সতেজ ডিজিটাল পরিবর্তন এনে দেয়—অনলাইন অভিজ্ঞতাকে পুনরায় নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার একটি মননশীল উপায়। আপনি কী দেখছেন, তা বেছে নিয়ে এই অভ্যাসটিকে একটি উদ্দেশ্যহীন অভ্যাসের বদলে আত্ম-যত্নের একটি সহজ, বিজ্ঞান-সমর্থিত কাজে রূপান্তরিত করতে পারেন (Bloomscrolling)।