Bangla Jago Desk : অবশেষে বৃষ্টি নামলো শহর তথা রাজ্যজুড়ে। কিন্তু তাতেও থেমে থাকবেনা ভ্রমনপিপাসুদের ঘুরতে যাওয়া। বৃষ্টি হয়েছে তো কি হয়েছে শহরে তো আর ভুটান সীমান্তের পাহাড় দেখতে পারবেন না, তার জন্য আপনাকে সেই পৌঁছে যেতে হবে কালিম্পং জেলার ভুটান সীমান্তের কাছে অবস্থিত গ্রাম টোডেতে।
শহরে যতই বৃষ্টি নামুক না কেন ভ্রমনপিপাসুদের মন পাহাড়ে যাওয়ার জন্য সবসময় ব্যাকুল হয়ে ওঠে। সেই কারণে ভ্রমনপিপাসুরা অজানা গন্তব্যের খোঁজে গুগলে সার্চ করতেই থাকেন । আমাদের পশ্চিমবঙ্গই এত সুন্দর যে অন্য কোন রাজ্যে আপনার যেতে মনই চাইবেনা। পাহাড়, জঙ্গল, নদী, ঝর্ণা এই সবকিছুর সঙ্গে সময় কাটানোর মত সুযোগ রয়েছে এই পশ্চিমবঙ্গেই। এবার আপনাদের নিয়ে যাব উত্তরবঙ্গের আরও এক অজানা গন্তব্যে, যারা নাম টোডে। কালিম্পং জেলার ভুটান সীমান্তে অবস্থিত এই ছোট্ট গ্রাম। সবুজে ঢাকা পাহাড় আর জঙ্গলে ঘেরা এই ডেস্টিনেশনে গেলে আপনি শীতল হাওয়ায় গা ভাসিয়ে দিতে পারবেন। এখানে যারা বসবাস করেন তারা অধিকাংশই রাই, ভুটিয়া, তামাং এবং লেপচা প্রজাতির। এখানকার বাসিন্দারা এই গ্রামে মূলত এলাচ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন । এখানে বাড়ি গুলি তৈরি কাঠ ও পাথর দিয়ে। এমনকি আপনি চাইলে এই পাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে একটু সময়ও কাটাতে পারেন। এইভাবে পাহাড়ে থাকা মানুষগুলো কিভাবে প্রতিদিন দিন কাটাচ্ছে , কিভাবে তারা এলাচ চাষ করছে এইসব খুব কাছ থেকে আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন। এই গ্রামের কাছেই রয়েছে চামেলী আয়ুর্বেদিক বাগান নামে একটি ওষুধ বাগান। নেওরা ভ্যালি ন্যাশেনাল পার্ক এর কাছেই রয়েছে এই ছোট্ট গ্রাম। যেহেতু কাছেই রয়েছে নেওরা ভ্যালি জাতীয় উদ্যান তাই নানা পশুর ও পাখির দেখা মিলতে পারে এই টোডেতে এসে।
যারা ট্রেক করতে পছন্দ করেন তারা অবশ্যই যেতে পারেন এই গন্তব্যে। একদিকে ভারত অন্যদিকে ভুটান। দূর থেকে দেখতে পাবেন ভুটান পাহাড়। টোডেতে গেলে আপনি দেখতে পাবেন নানা পাহাড়ি জলপ্রপাত যেমন ডাবই খোলা, চুমং খোলা, সিমানা খোলা। টোডে তে রয়েছে একটি পুরনো চার্চ । আপনি চাইলে সেখানেও যেতে পারেন। ছোট ছোট কাঠের তৈরি বাড়িতেই আপনি হোমস্টের সুবিধাও পেয়ে যাবেন। তাই কালিম্পঙের এই ছোট্ট পাহাড়ি গাঁও টোডে যেতে গেলে আপনাকে ট্রেনে করে পৌঁছে যেতে হবে নিউ মাল জংশন সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন টোডেতে।