ad
ad

Breaking News

Shuvendu Adhikari

Shuvendu Adhikari: ‘অপারেশন সিঁদুর’ যোগ করলেই সেনাকে সম্মান? বিধানসভায় শুভেন্দুর মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক!

মুখ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানালেও একাধিক ইস্যুতে শাসকদলকে একহাত নিলেন।

shuvendu adhikari controversy

চিত্র : নিজস্ব গ্রাফিক্স

Bangla Jago Desk: মঙ্গলবার সেনার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিধানসভায় আনা প্রস্তাব ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক তরজা দেখা গিয়েছে। মুখ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari) প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানালেও একাধিক ইস্যুতে শাসকদলকে একহাত নিলেন। সেনাবাহিনীর বীরত্বের প্রশংসা করতে গিয়ে উঠে এল ‘অপারেশন সিঁদুর’, মাসুদ আজহার, জঙ্গি হামলা, যাদবপুর ও বেহালার ঘটনাও। এই প্রস্তাব নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই প্রস্তাব আনায় আমরা খুশি। সমর্থন করছি, তবে কিছু বক্তব্য রাখতে চাই। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় প্রথমেই বলা হয় – নেশন ফার্স্ট। দেশের স্বার্থ সবকিছুর আগে। ভগিনী নিবেদিতা বলেছিলেন, স্বামী বিবেকানন্দের চোখে ভারতমাতা ছিলেন প্রধান। তাই ভারত যখন ক্ষত-বিক্ষত হয়, সবাইকে প্রতিবাদে সামিল হতে হয়।”

আরও পড়ুন: Nicholas Pooran:২৯ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ক্যারিবিয়ান তারকা

তিনি আরও বলেন, “সেনা মাসুদ আজহার ছাড়া তার গোটা বংশকে ধ্বংস করেছে। একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তাই সেনা ও ফ্রন্টলাইন ফোর্সকে স্যালুট জানাই। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে চারজন হাউজের সদস্য বাইরে মন্তব্য করেছেন—ফিরহাদ হাকিম, উদয়ন গুহ, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী—তাঁদের এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রীও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছু বলেছিলেন, আমি তা টানিনি।” তিনি অভিযোগ করেন, “এই প্রস্তাবে ‘সিঁদুর’ শব্দটি নেই কেন? এতে আপত্তি কোথায়? আমাদের অনুরোধ, প্রস্তাবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শব্দটি যোগ করুন। এর আগে আমাদের বহু প্রস্তাব নিয়েছেন।

 

শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari) বলেন, “মাকুরা সিঁদুর পড়ে না। যাদের ঠাকুরদা চীনে থাকে, তাঁরা সিঁদুর পরে না।” এই মন্তব্য ঘিরে উত্তেজনা চরমে ওঠে। তিনি আরও বলেন, “আপনারা যাদের লাইনে থাকতে বলেন, তারা বে-লাইনে কথা বলছে। নিজেদের লোকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না।” শুধু সীমান্ত পারের সন্ত্রাস নয়, রাজ্যের সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনাও তুলে আনেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমার অভিজ্ঞতা বলছে—১৯৮৪ সালে শিখ দেখে খুন হতে দেখেছি। এবার হিন্দু দেখে দেখে খুন হতে দেখলাম। এটা একেবারে টার্গেট কিলিং। যাদবপুর ও বেহালার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি—দু’জায়গায়ই জোর করে কলমা পড়তে বলা হয়েছিল।”

 

তিনি জানান, “আমি তেহট্টেও গিয়েছিলাম। সেখানে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য টেনে এনে শুভেন্দু বলেন, “২২ এপ্রিল এই ঘটনা ঘটার পরে প্রধানমন্ত্রী ২৪ এপ্রিল বিহারে ঘোষণা করেন—বদলা নেওয়া হবে। তারপরেই সেনার তিন বাহিনী, ISRO, DRDO মিলে টানা অভিযান চালিয়ে ১০০ কিমি ভেতরে ঢুকে শত্রুর ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল।”

 

সেনার অবদানের প্রসঙ্গে তিনি (Shuvendu Adhikari) বলেন, “সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে কারও আপত্তি নেই। এপিজে আবুল কালাম আজাদকেও এনডিএ জমানায় রাষ্ট্রপতি করা হয়েছিল। আপনাদের নেত্রীও তাতে ভোট দিয়েছিলেন। এই লড়াই কোনও ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয়। এই লড়াই জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।” তবে এই উত্তপ্ত ভাষণের মাঝে অধ্যক্ষের মন্তব্যেও নতুন মাত্রা যোগ হয়। তিনি বিরোধী দলনেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনারা কোনো সংশোধনী দেননি। দিলে সেটা নিয়ে ভাবা যেত। এই প্রস্তাব শুধুই সেনাবাহিনীকে কুর্নিশ জানানোর জন্য আনা হয়েছে।”

Bangla Jago FB Page: https://www.facebook.com/share/193NB43TzC/

এই বিতর্কের মধ্যেই বিধানসভায় ফের চড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি উদয়ন গুহকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “পাকিস্তান চলে যান!” সেনার বীরত্বের প্রেক্ষিতে সম্মানজনক প্রস্তাব ঘিরে এমন উত্তপ্ত রাজনৈতিক তরজা রাজনীতির তীব্র মেরুকরণকেই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।