Bangla Jago Desk , Mou Basu: মে মাসের গোড়াতেই আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বৃষ্টিপাতের পরিসংখ্যানের দিকে নজর রাখতেই দেখা যায় উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়া কলকাতা-সহ রাজ্যের বাকি জেলায় বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১০০%। জলপাইগুড়ি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ৯৯% আর পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৯৭%। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় তীব্র কালবৈশাখীর হানায় একদিকে যেমন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কমেছে তেমনই অনেকটাই কমেছে বৃষ্টির ঘাটতি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ৭০.৭ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টির ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৩৫.৪ ডিগ্রিতে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৩ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫.১ ডিগ্রি কমে হয়েছে ২১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।কলকাতার পাশাপাশি গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই তীব্র কালবৈশাখী হানা দেয় সোমবার সন্ধ্যায়। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ভাসে প্রবল বৃষ্টিতে। কলকাতায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৭১ মিলিমিটার। অর্থাৎ গোটা মে মাস জুড়ে যা বৃষ্টি হওয়ার কথা, তার দুই-তৃতীয়াংশ বৃষ্টি এক সন্ধ্যাতেই হয়ে গেছে। সাধারণত মে মাসে এই পরিমাণ বৃষ্টি দেখা যায় না।
পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের দক্ষিণ ও লাগোয়া অঞ্চলে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ ঝাড়খণ্ড থেকে পশ্চিম মধ্য প্রদেশ থেকে বিস্তৃত হয়েছে একটি অক্ষরেখা। এছাড়াও বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমানে জলীয় বাষ্প বাংলার স্থলভাগে ঢুকেছে। এসবের মিলিত প্রভাবে মঙ্গলবারও ঘণ্টায় ৫০-৬০ গতিতে বজ্র বিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বীরভূম, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা আর কলকাতায়। বাকি জেলাতেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বুধবারও উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃহস্পতিবার ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায়। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। শুক্রবার ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়।