চিত্র: প্রতীকী
Bangla Jago Desk: বেপরোয়া বাসের বলি পড়ুয়া। দুই পড়ুয়াকে স্কুটিতে চাপিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মা । সেসময় কে আগে যাবে তাই নিয়ে ২১৫এ রুটের দুই বাসের রেষারেষি হয়। সেসময় একটি বাস ধাক্কা মারে স্কুটিতে। জোরালো ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক পড়ুয়ার। স্কুটির চালকও আর এক পড়ুয়াকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এই ঘটনায় সল্টলেকের ২ নম্বর গেটে ছড়ায় উত্তেজনা। পুলিশের শীর্ষ কর্তারা কোনওমতে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
বাসের গতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশি নজরদারি বহাল। তবুও সেই নজরদারির ফাঁক দিয়ে কিছু বাস চালক বেপরোয়া বাস চালায় বলে অভিযোগ উঠছে। বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় এবার সল্টলেকে প্রাণ গেল এক পড়ুয়ার। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর মানুষের ক্ষোভ ছড়ায়। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় সল্টলেকের ২ নম্বর গেট এলাকায়। মঙ্গলবার দুই পড়ুয়াকে স্কুটিতে চাপিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মা ।সেসময় কে আগে যাবে তাই নিয়ে ২১৫এ রুটের দুই বাসের মধ্যে রেষারেষি হয়। সেসময় একটি বাস ধাক্কা মারে স্কুটিতে। জোরালো ধাক্কায় মৃত্যু হয় তৃতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়ার। মৃত শিশুর নাম আয়ুষ পাইক। সে কেষ্টপুরের একটি স্কুলে পড়ত। তার বাড়ি মানিকতলায়। স্থানীয় মানুষ বাসের রেষারেষি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেয়।
ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় এক পড়ুয়ার। মৃতের নাম আয়ুষ পাইক। মা এবং অপর পড়ুয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনা জেরে উল্টোডাঙ্গা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায় পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় সাধারন মানুষ। অভিযোগ, ওই এলাকায় নিত্যদিন বাসের রেষারেষি চলে। এর আগেও একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ হাতে নিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে হয় বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ সামনে এনে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ চলে। ঘটনা জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। শুরু হয় পথ অবরোধ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌছায়। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এর আগে বেহালা ও বাঁশদ্রোণীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল সল্টলেকে। গতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিতে চায় বলে স্পষ্ট করেছে।