Bangla Jago Desk : আজ আবার SSC মামলার শুনানি। সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের পর প্রথমদিন সামান্য কিছু সময়ের জন্য শুনানি হয়েছিল। আজ দ্বিতীয় শুনানি। এই মামলার দিকে তাকিয়ে আছে সব পক্ষ। আগের শুনানিতে এই মামলায় চাকরি বাতিলের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়নি সর্বোচ্চ আদালত। যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ।
এবার তা হলে কি যোগ্য-অযোগ্য বাছাই বিতর্কের অবসান হবে? জানা যাচ্ছে, যোগ্য-অযোগ্য বাছাইয়ে আপাতত পরিসংখ্যান পেশ করতে চলেছে এসএসসি। সেখানে সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে যোগ্য-অযোগ্যের ফারাক বোঝাতে পারে এসএসসি। পরে সুপ্রিম কোর্ট চাইলে পূর্ণাঙ্গ তালিকা পেশ করা হবে।
এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার আগেই জানিয়েছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করে বলব, যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করা সম্ভব। যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, সেই পরিসংখ্যান সুপ্রিম কোর্টে দেব। সুপ্রিম কোর্টের যা নির্দেশ, সেই মোতাবেক আমরা যা করার করব। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা এখন আন্দোলন চালাচ্ছেন। এসএসসি-র দেওয়া তথ্যে সুপ্রিম কোর্টে যদি যোগ্য-অযোগ্য ফারাক করে তা হলে এই বিতর্কের অবসান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে। চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। এসএসসি-র দাবি অনুযায়ী, তার মধ্যে পাঁচ হাজারের কিছু বেশি অযোগ্য প্রার্থী বাতিল চাকরি তালিকায়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছিল, যেহেতু আসল OMR শিট নষ্ট হয়েছে, কোনও কপি রাখা হয়নি। তাই যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা কী করে করা সম্ভব? এবার সুপ্রিম কোর্টে যোগ্য-অযোগ্য বাছাইয়ে পরিসংখ্যান পেশ করতে চলেছে এসএসসি।