ad
ad

Breaking News

TMC Attack in Agartala

TMC Attack in Agartala: গান্ধীবাদ ছেড়ে সুভাষবাদ ধরতে হবে!’ ত্রিপুরায় পার্টি অফিসে হামলায় চরম হুঁশিয়ারি তৃণমূলের

এই ঘটনাকে 'রাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাস' (State Sponsored Political Terrorism) বলে আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

TMC Attack in Agartala Sparks Outrage, Party Calls

চিত্রঃ সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছে রাজ্যের শাসক দল। এই ঘটনাকে ‘রাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাস’ (State Sponsored Political Terrorism) বলে আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রতিবাদ জানাতে বুধবারই ত্রিপুরা পৌঁছেছে দলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। অন্যদিকে, আগরতলায় পৌঁছে গাড়ি সঙ্কটের মুখেও পড়তে হয়েছে প্রতিনিধি দলকে। বুধবার তৃণমূল ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী এই হামলার জন্য সরাসরি বিজেপিকে দায়ী করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, পুলিশের উপস্থিতিতেই তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, যা ত্রিপুরার ‘অসহিষ্ণু সরকার’ গণতন্ত্র ধ্বংসের চেষ্টা করছে বলে প্রমাণ করে (TMC Attack in Agartala)।

আরও পড়ুনঃ জুবিনের মৃত্যুতদন্তে ফের গ্রেফতার, পুলিশের জালে গায়কের তুতো ভাই

শশী পাঁজা বলেন, “ত্রিপুরার ঘটনা রাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাস। ফ্লপ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কেন্দ্রে এটা হয়েছে। পুলিশ বসে সবটা দেখছে, প্রধানমন্ত্রী কি এই গণতন্ত্রের কথাই বলেন? বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব উস্কানি দিয়েছে।” তিনি পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে তুলনা টেনে বলেন, “এ রাজ্যের বুকে বিজেপির পার্টি অফিস আছে, কোনও আক্রমণ হয় না। কেউ আক্রান্ত হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে যান।” ত্রিপুরার এই ঘটনায় বিজেপি নেতৃত্ব প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তুলে তীব্র হুঁশিয়ারি দেন শশী পাঁজা ও অরূপ চক্রবর্তী। তাঁরা বলেন, “আগেরবার তৃণমূল নেতৃত্বকে খুন করার প্ল্যান করেছিল। আমরা নজর রাখছি। যদি এবারও কিছু হয় তাহলে গান্ধীবাদ ছেড়ে সুভাষবাদ ধরতে হবে।” তাঁদের এই মন্তব্য ত্রিপুরার রাজনীতিতে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শশী পাঁজা মনে করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব পেয়ে স্কোর কার্ড বাড়ানোর জন্য বিপ্লব দেব প্ল্যান করে এই আক্রমণ করেছে (TMC Attack in Agartala)।’

Bangla Jago fb page: https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial

এদিকে, বুধবার ত্রিপুরা পৌঁছেই সমস্যায় পড়েন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের নেতৃত্বে এই দলে মোট ছয়জন সদস্য থাকার কথা। জানা গিয়েছে, তাঁদের জন্য চারটি গাড়ির ব্যবস্থা থাকার কথা থাকলেও, তিনটি গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাধ্য হয়ে একটি মাত্র গাড়িতে সকলকে একসঙ্গে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, যা কার্যত অসম্ভব (TMC Attack in Agartala)।