সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: সংসদে দলের অবস্থান কোনও ব্যক্তিবিশেষের সিদ্ধান্তে হবে না, জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার, ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতায় ফিরে মমতা বলেন, “পার্লামেন্টে স্ট্যান্ডটা আমাদের কারও ইন্ডিভিজুয়্যাল ম্যাটার নয়। সিদ্ধান্ত নেবে দলের সংসদীয় নেতৃত্ব।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে মমতা সংসদীয় দলকেই দায়িত্ব দিয়েছেন সংসদে দলীয় অবস্থান নির্ধারণের। পাশাপাশি, তিনি পাঁচ সাংসদের নাম ঘোষণা করেন, যাঁরা এই বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। এই পাঁচ জন হলেন লোকসভায় দলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, উপদলনেতা সাগরিকা ঘোষ এবং মুখ্য সচেতক নাদিমুল হক।
অভিষেকের নির্দেশ ও মমতার বার্তা
এর এক দিন আগেই, দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদে দলীয় সদস্যদের ব্যক্তিগত প্রস্তাব আনা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি দলীয়ভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু তুলে ধরার উপর জোর দেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার মমতার বক্তব্যকে রাজনৈতিক মহল অভিষেকের বৈঠকের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছে।
মমতার বক্তব্যে স্পষ্ট করা হয়েছে, দলের অবস্থান নির্ধারণ কোনও একজন ব্যক্তির কাজ নয়। বরং দলনেত্রী নিজেই এই প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ের অংশ হবেন। তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, অভিষেকের নেতৃত্বাধীন বৈঠকের পর তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি মেটাতেই মমতা এই ঘোষণা করেছেন।
কৌশলী অবস্থান নিতে চাইছে তৃণমূল
তৃণমূল কংগ্রেস চায়, সংসদে বাংলার স্বার্থ ও উন্নয়নমূলক ইস্যুগুলি বেশি করে তুলে ধরা হোক। হট্টগোলের পথে না গিয়ে, দল সংসদ সচল রাখার পক্ষেই। তবে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র অংশ হয়েও, কংগ্রেসের সঙ্গে কৌশলগত দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছে তারা।
মমতার এই ঘোষণার মাধ্যমে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হলো, দলীয় ঐক্যের মধ্যে থেকেই সংসদে তৃণমূল তার ভূমিকা পালন করবে। কোনও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, দলের অভ্যন্তরীণ আলোচনার মাধ্যমেই সংসদীয় অবস্থান ঠিক হবে।