Bangla Jago Desk: পুজোর সময় এলাকায় শান্তি বজায় রাখুন। প্রবীণ-শিশুদের মতোই একটু খেয়াল রাখবেন মা –বোনেদের যেন কোথাও কোনও অসুবিধা না হয়। নজরুল মঞ্চে জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যা প্রকাশের অনুষ্ঠানে নারী সুরক্ষায় নজর দেওয়ার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রামকৃষ্ণের সর্বধর্ম সমন্বয়ই যে বঙ্গের উৎসবের স্পিরিট তাও বুঝিয়ে দেন প্রশাসনিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রীর, বার্তা,কথা কম,কাজ বেশি।
প্রতিবছরই পুজোর আগে দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রীও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো এবারও নজরুল মঞ্চে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। নজরুল মঞ্চের সেই বিশেষ অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই এলাকার শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর সময় উদ্যোক্তাদের মতোই সাধারণ মানুষকেও প্রবীণ-শিশুদের মতোই মা বোনেদের খেয়াল রাখার জন্য আবেদন জানান তিনি। নারী শক্তির জাগরণের তাত্পর্যবাহী বাঙালির এই শ্রেষ্ঠ উত্সবের সময় নারী সুরক্ষা যে তাঁর অগ্রাধিকারের তালিকায় তাও বুঝিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাঙালির উৎসবের মূলকথা সবাইকে নিয়ে চলা,সবাইকে সামিল করে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া। বিশ্বজনীন উৎসবে সঙ্কীর্ণতার বেড়া ভেঙে যে আনন্দ ষজ্ঞের আয়োজন করা হয়,তার ফোকাস যে সর্বধর্ম সমন্বয় তাও স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। রামকৃষ্ণের সর্বধর্ম সমন্বয়ের ভাবধারা যে বাংলার এই উৎসব উদযাপনের প্রাণের কথা তাও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, অনেকেই বলেন,কেন পুজো করবো,কেন উৎসব করবো ? তার ব্যাখাও দেন প্রশাসনিক প্রধান। বুঝিয়ে দেন,সবাইকে নিয়ে চলার আনন্দটাই আলাদা।
উৎসবের আনন্দ থাকবে,কিন্তু বানভাসি মানুষদের ভুলে গেলে চলবে না। একথা আরও একবার দলীয় কর্মী, দলের নেতা,জনপ্রতিনিধিদের মতোই সাধারণ মানুষকে মনে করিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বার্তা,‘অনেক মানুষ এখনও বানভাসি আছেন। যতটা পারবেন সাহায্য করবেন। যাঁরা মানুষের কাজ করেন, তাঁরা নিঃশব্দে কাজ করেন। যাঁরা কাজ করে না তাঁরা বকে বেশি। আমি চাই, কথা কম কাজ বেশি। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।’ মুখ্যমন্ত্রী শহরের একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন। সেলিমপুরের মতোই যোধপুরপার্কের ৯৫পল্লী সহ একগুচ্ছ পুজোর শুভ সূচনা করেন তিনি। সন্ধ্যায় চেতলা অগ্রণীর চক্ষুদান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ৪০০কাছে জেলার পুজোর উদ্বোধনও করেন তিনি।