ad
ad

Breaking News

Tangra case

ট্যাংরা কাণ্ডে মিলল পরিচয়, মৃত দুই মহিলা সুদেষ্ণা ও রোমি, প্রণয় ও প্রসূনের স্ত্রী

রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই সঙ্গে পরিচয়ও মিলল।

Tangra case: Two dead women identified as Sudeshna and Romi, wives of Pranay and Prasun

চিত্র: সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই সঙ্গে পরিচয়ও মিলল। ট্যাংরার অতুল সুর রোডের বাড়িতে যে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তাদের পরিচয় জানালো পুলিশ। তাদের নাম সুদেষ্ণা দে, রোমি দে ও এক নাবালিকা। অন্যদিকে অভিষিক্তার কাছে গাড়ি দুর্ঘটনায় যে তিনজন জখম হয়েছেন তাদের দুজনের পরিচয় জানিয়েছে পুলিশ।

একজনের নাম প্রণয় দে ও অপরজনের নাম প্রসূণ দে। প্রণয় দে ও প্রসূণ দে সম্পর্কে দুই ভাই। বড় ভাই প্রণয় দে’র স্ত্রী সুদেষ্ণা এবং ছোট ভাই প্রসূণ দে’র স্ত্রী রোমি দে। গাড়িতে ছিল আর এক নাবালক। পুলিশে প্রাথমিক ধারণা আর্থিক সংকটে জর্জরিত হয়ে গোটা পরিবার আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। দুই স্ত্রী এবং বাড়ির এক নাবালিকাকে শিরা কেটে হত্যা করার পর দুই ভাই ও এক নাবালক গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে।

অভিষিক্তার কাছে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মারে গাড়িটি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাড়ির ঠিকানা জানতে পারে পুলিশ। বাড়িতে তিনজনের মৃতদেহর কথা জানান তারা। সেইমতো পুলিশ ট্যাংরার বাড়িতে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। বাড়ি থেকে উদ্ধার হন নাবালিকা এবং গাড়ির নাবালকের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘তিন জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে। এক জন নাবালিকা। ১৪-১৫ বছর বয়স। তার দেহে তেমন কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। দুই মহিলার দেহে আঘাত রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে। গড়ফা থানা এলাকায় একটা দুর্ঘটনা ঘটে। তাতে আহত হয়েছেন এই দুই মহিলার স্বামীরা। এই ঘটনার কারণ কী, ওরা করেছে না অন্য কেউ এর সঙ্গে জড়িত, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত এখনও একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে। আহতদের বয়ান যাচাই করে দেখা হচ্ছে। আত্মহত্যা না খুন, এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আগে দেখতে হবে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’