ad
ad

Breaking News

RG kar Doctor

অবস্থানে অনড় থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে,জুনিয়র ডাক্তার না থাকায় ওটি হয়নি

সু্প্রিম নির্দেশ অমান্য করে কোনওমতেই কাজে যোগ দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যভবনের অদূরে জুনিয়র ডাক্তাররা অবস্থানে অনড় রয়েছেন।

Suffering is increasing due to stubbornness in position

Bangla jago Desk: সু্প্রিম নির্দেশ অমান্য করে কোনওমতেই কাজে যোগ দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যভবনের অদূরে জুনিয়র ডাক্তাররা অবস্থানে অনড় রয়েছেন। অচলাবস্থা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের আলোচনায় ডাকেন নবান্নে। কিন্তু কোনও কথা শোনেননি চিকিৎসকরা। তাঁদের একরোখা মনোভাবে পরিষেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। সঙ্কটাপন্ন রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন। জেলার রোগীরা বলছেন, আমাদের তো নার্সিংহোমে যাওয়ার টাকা নেই, তাহলে চিকিৎসা কীভাবে মিলবে? 

কেউ কিডনির রোগী, কেউ গল্ড ব্লাডারের কঠিন সমস্যায় জর্জরিত। যন্ত্রণা প্রশমনে তাঁরা ছুটে এসেছিলেন এসএসকেএমের মতো সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতাল এসে  তাঁদের সুরাহা হওয়ার পরিবর্তে হয়রানির মুখোমুখি হতে হয়। ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে কোনক্রমে টিকিট কাটলেও  সুচিকিৎসার গ্যারান্টি মিলছে না। দিনের পর দিন হাসপাতালের দরজায় কড়া নেড়েও ফিরে যেতে হয় রোগীদের। অসহায়ভাবে, নিরুপায় হয়ে। কেউ উত্তর দিচ্ছে না, ডাক্তারবাবুরা ব্যস্ত আন্দোলনে। যার জন্য সেই একমাসের ওপর সময় ধরে ব্যাহত হচ্ছে পরিষেবা।

[আরও পড়ুনঃ ভোটার স্লিপের সুত্র ধরে উদ্ধার বৃদ্ধা,সিভিক ভলেন্টিয়ারের মানবিক মুখ

হয়রানির তালিকায় রয়েছে, চিকিৎসকরা সেবার আদর্শ নিয়েই তো এই হাসপাতালে যোগ দিয়েছিলেন। জুনিয়র ডাক্তাররা না থাকায় সিনিয়র ডাক্তাররা কঠিন সমস্যায় থাকা শিশুকেও ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি পরিবারের। বলুন তো এবার ফারহানের বাবা রাজা খান যাবেন কোথায়? তাঁর পকেটে তো আর দেদার পয়সা নেই, যা দিয়ে নার্সিংহোমে জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করে ফেলবেন। এবার কী মানবিকতার দিক থেকে চিকিৎসকসমাজ ভাববেন না ?

শুধু রাজা খানই নন, স্বরূপনগর থেকে হাসপাতালে রোগ সারাতে আসেন,সুপজান বিবি। গল্ড ব্লাডারের সমস্যায় জেরবার। জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। সেই কারণেই জেলা থেকে শহরের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসেন, দেখা যায়,পর্যাপ্ত চিকিৎসা না থাকায় তাঁকেও হয়রানির মুখে পড়তে হয়। যেখানে তাঁর এর্মাজেন্সি চিকিৎসা প্রয়োজন সেখানে এই বিলম্ব কার্যতঃ তাঁর পরিবারের টেনশন,উত্কণ্ঠা বাড়ায়। ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে নিয়ে টানাপোড়েন চললেও তড়িঘড়ি চিকিৎসা দিতে ডাক্তাররা এগিয়ে আসেননি বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা। 

[আরও পড়ুনঃ জবরদখল হঠাতে চায় চক্র রেল,দাবিও উঠছে পুনর্বাসনের