ad
ad

Breaking News

Sodepur Incident

Sodepur Incident: সোদপুর নির্যাতিতা-কাণ্ডে পাঁচ দিনের মাথায় অবশেষে কলকাতার গল্ফগ্রীন থেকে গ্রেফতার আরিয়ান খান

ধৃত আরিয়ানের বিরুদ্ধে আটকে রাখা, মারধর, শ্লীলতাহানি, খুনের চেষ্টা সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

sodepur incident ariankhan arrested

গ্রাফিক্স: নিজস্ব

Bangla Jago Desk: সোদপুর নির্যাতিতা-কাণ্ডে ঘটনার (Sodepur Incident) পাঁচদিনের মাথায় বুধবার অবশেষে অন্যতম মূল অভিযুক্ত আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করল হাওড়া সিটি পুলিশ। কলকাতার গল্ফগ্রিন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শ্বেতার এক নাবালিকা কন্যাকেও এদিন কলকাতা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, শ্বেতা খানের দুই ভাই এবং মাকেও আটক করেছে পুলিশ। তারপরই বিভিন্ন সূত্র ধরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশির পর আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়। তবে আরিয়ানের মা মূল ‘মক্ষীরানি’ শ্বেতা খান এখনও পলাতক। কলকাতা থেকে এদিন সরাসরি আরিয়ানকে হাওড়ার ডোমজুড় থানায় আনা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর হাওড়া কোর্টে পাঠানো হয়। দুপুরেই তাকে হাওড়া কোর্টে তোলা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত আরিয়ানের বিরুদ্ধে আটকে রাখা, মারধর, শ্লীলতাহানি, খুনের চেষ্টা সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ফোন ট্র্যাক করে জানতে পারা যায় তার লোকেশন পরিবর্তন হচ্ছে। যেখানে যেখানে আরিয়ানের লোকেশন পাওয়া গিয়েছে সেই সব জায়গায় পুলিশ রেইড করে। অবশেষে গল্ফগ্রিনে পাওয়া যায় আরিয়ানের হদিস। সেখানে এক পরিচিতের ফ্ল্যাটে বোনের সঙ্গে সেখানে ছিল সে। কলকাতা পুলিশের সহায়তায় হাওড়া সিটি পুলিশ আরিয়ানের সঙ্গে তারও হদিস পায়। পুলিশ মনে করছে আরিয়ানকে জেরা করে তার মা শ্বেতার হদিস পাওয়া যাবে। এই ঘটনার (Sodepur Incident) সঙ্গে শ্বেতার পরিবার যুক্ত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। শ্বেতার খোঁজে হাওড়া এবং পার্শ্ববর্তী জেলায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে, আরিয়ানের গ্রেফতারি নিয়ে এদিন ডোমজুড়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সাউথ সুরিন্দর সিং।

আরও পড়ুন: Vidyasagar Setu: ভোরবেলায় তিনদিন বন্ধ বিদ্যাসাগর সেতু, বিকল্প রুটে বাড়বে চাপ

ডিসি সাউথ বলেন, “খবর পেয়ে অনেক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। অবশেষে কলকাতার গল্ফগ্রিন এলাকায় আরিয়ানের হদিস পাওয়া যায়। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় আরিয়ানকে। তাকে জেরা করে শ্বেতা খানের হদিস পাওয়া যাবে। ধৃতের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানি, খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে বার ড্যান্সিংয়ের কথা বলা রয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতা তরুণী তা করতে অস্বীকার করেছিলেন। এখন শ্বেতার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে হাওড়া সিটি পুলিশ। ৭ জুন থেকে শ্বেতাও পলাতক। শ্বেতা এবং আরিয়ান আলাদা জায়গায় পালিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত যে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে তার ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। আর কোনও অভিযোগ আসেনি।” প্রসঙ্গত, আরিয়ান খানকে এদিন সকালে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ কলকাতা পুলিশের সহায়তায় গল্ফগ্রীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। শ্বেতা ও তাঁর ছেলে আরিয়ান নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের উপর নজর রাখছিল।

Bangla Jago Fb Page: https://www.facebook.com/share/193NB43TzC/

পাশাপাশি আরিয়ানের ফোনও ট্র্যাক করা হচ্ছিল। এদিন তার দিদিমাকে আটক করার পর বিভিন্ন সূত্র ধরেই আরিয়ানকেও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। এখন আরিয়ানের সূত্র ধরেই তার পলাতক মা শ্বেতার খোঁজ চালাবে পুলিশ। শ্বেতা খানের এক নাবালিকা কন্যাকেও উদ্ধার করে ডোমজুড় থানার পুলিশ (Sodepur Incident)। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, আরিয়ান ছাড়াও শ্বেতার আরও দুই কন্যা রয়েছে। আরিয়ান তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তান। আরিয়ান ছাড়াও ইশিকা খান নামে এক কন্যা ছিল প্রথম পক্ষের। কয়েক বছর আগে ইশিকা ‘আত্মহত্যা’ করেন বলে অভিযোগ।