চিত্রঃ সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: রাজনৈতিক জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সাত বছরের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে তৃণমূল ভবনে দলীয় রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাত ধরে তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘাসফুল শিবিরে প্রত্যাবর্তন করবেন। এই প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরা নিশ্চিত হল (Shovan Chatterjee)।
ইতিমধ্যেই বাড়ি থেকে তৃণমূল ভবনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন এই চর্চিত জুটি। তাঁদের এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে— তবে কি ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দলীয় টিকিট দেওয়া হবে? সেক্ষেত্রে তাঁর পুরোনো গড় বেহালা পশ্চিমে তাঁকে প্রার্থী করার সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, সাত বছর পর দলে ফেরা শোভনকে আগামী ভোটের অন্যতম সৈনিকের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে (Shovan Chatterjee)।
আরও পড়ুনঃ ৭ বছর পর ঘরে ফিরছেন শোভন, আজই তৃণমূলে যোগ
স্মরণ করা যেতে পারে, বছর সাতেক আগে, অর্থাৎ ২০১৮ সালে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় আচমকাই কলকাতার মেয়র পদ এবং আরও দুটি মন্ত্রিত্বের দপ্তর ছেড়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এরপর দীর্ঘ সময় তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শোভন ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি)। সেই নির্বাচনে তাঁকে তারকা প্রচারকের দায়িত্বও দেয় গেরুয়া শিবির। তবে বিজেপি-তে তাঁরা খুব বেশিদিন সক্রিয় থাকেননি (Shovan Chatterjee)।
Bangla Jago fb page: https://www.facebook.com/share/17CxRSHVAJ/
বিজেপি ছাড়ার পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ বাড়ছিল। পুরনো সতীর্থদের সঙ্গে নতুন করে নিবিড় যোগাযোগ তৈরি হয় প্রাক্তন মেয়রের। সম্প্রতি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দফায় দফায় তাঁদের আলোচনা হয়েছে। এর ফলস্বরূপ, মাসখানেক আগেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিউটাউন-কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদের (NKDA) চেয়ারম্যানের প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়। এমনকি, প্রতি ভাইফোঁটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে শোভন-বৈশাখীর যাতায়াতও ছিল অব্যাহত। সম্প্রতি দার্জিলিংয়ের রিচমন্ড হিলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের একটি বৈঠকও হয়, যার পরপরই এনকেডিএ-র দায়িত্ব পান তিনি। সেই ধারাই এবার তাঁদের ফের তৃণমূলে ফিরিয়ে আনল।