ছবিঃ সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: আরজিকরের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এবার ৮জায়গায় তল্লাশি চালাল ইডি। শুক্রবার রাজ্যের ৮ জায়গায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকরা। চন্দননগরের পাদ্রীপাড়ায় সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়িতে যান তদন্তকারীরা। কিন্তু তালাবন্ধ থাকায় তাঁরা চলে যান বৈদ্যবাটিতে। সেখানে গিয়ে অভিযুক্ত কুণাল রায়ের বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে, সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে সুভাষগ্রাম থেকে আটক করেছে ইডি।
আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির জাল কতদূর ছড়িয়ে রয়েছে, তার সন্ধান করতে হানা দিল ইডি। শুক্রবার সকালে তদন্তকারীরা যান সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে। সেখানে প্রথমে তাঁদের ফিরে আসতে হয়। এরপর আবারও ইডির টিম তথ্যতল্লাশ করতে হানা দেয়। এরমাঝে ক্যানিংয়ে মিলেছে সন্দীপ সাম্রাজ্যের বড়সড় সূত্র। সেখানে প্রাসাদপ্রম বাড়ি রয়েছে সন্দীপ ঘোষের। যার পোশাকী নাম সঙ্গীতা সন্দীপ ভিলা। স্থানীয়রা জানান, চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষ সেই বাড়িতে আসতেন। রাজ্যের ৮ জায়গায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। কলকাতা থেকে জেলা সব জায়গায় চলে ম্যারাথন তল্লাশি। ইডি আধিকারিকদের একটি টিম প্রথমেই যায় চন্দননগরের পাদরি পাড়ায়।
সকাল ৬টা ৫৫মিনিট নাগাদ যায় স্পেশাল টিম। এখানেই থাকেন সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু সন্দীপ ঘোষের শ্বশুর রামকৃষ্ণ দাসের পরিবারের লোকেরা এই ঠিকানায় এখন থাকেন না। তাই ইডি কর্তারা সেই বাড়ি তালাবন্ধ দেখে বৈদ্যবাটিতে চলে যান। বৈদ্যবাটির নার্সারি রোডে যায় ইডির আধিকারিকরা। কুণাল রায়ের বাড়িতে গিয়ে ইডি কর্তারা তল্লাশি করে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে কুণাল রায়ের বাড়িতে যায়। সেখানে লাগাতার তল্লাশি চালায় তাঁরা। কুণালের পরিজনরা জানান,তিনি মেডিক্যাল লাইনে কাজ করেন।কুণাল রায় বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন কলকাতায়। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা কড়া নজর রাখে।
এরমাঝে,সুভাষগ্রামে ইডি আধিকারিকরা হানা দেয়। সেখানে সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে গিয়ে আটক করে ইডি। লাগাতার তল্লাশির মাঝে এই আটক তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ করল বলা যায়। শুধু কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনাই নয়, শুক্রবার সকালে হাওড়ার একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি। হাওড়ার তল্লাশি চলে বিপ্লব সিং বা কৌশিক কোলের বাড়িতেও।
ইডির তদন্তকারীদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। সোমবার সন্দীপের পাশাপাশি সিবিআই গ্রেফতার করে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহে যুক্ত বিপ্লব সিংকে। জানা গিয়েছে, কৌশিক বিপ্লব-ঘনিষ্ঠ। বিপ্লবের সংস্থায় হিসাবরক্ষকের কাজ করতেন তিনি। অন্য দিকে, প্রসূন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন।তাই প্রসূনকে জেরা করে এই বেআইনি কারবারের কিনারা করার চেষ্টা করার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরটা বাড়িয়েছে ইডি।