ad
ad

Breaking News

Tangra

ট্যাংরার বহুতল বিপর্যয়ে গ্রেফতার প্রোমোটার

এই বিল্ডিং গড়ে উঠেছিল তার সময় হয়েছিল মাত্র ৪ বছর। ক্রিস্টোফার রোডে ওই বাড়ি হেলে পড়ার জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। আতঙ্কিত বাসিন্দারা অভিযোগ করেছিলেন, দুটো বহুতলের মাঝে কোনওরকম জায়গা না রাখায় এই বিপত্তি হয়েছে। যার জন্য এক হাত দূরত্বে থাকা পাশের একটি বাড়ির দিকে হেলে পড়ে। 

চিত্র : সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: ট্যাংরার বহুতল বিপর্যয়ের অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে FIR করা হয়। অভিযুক্তের খোঁজে দিনভর তল্লাশি করা হয় তিলজলা সংলগ্ন এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া ওই প্রোমোটারের নাম রজত লি। 

নিজস্ব চিত্র

প্রসঙ্গত, শহর কলকাতায় প্রথম বাঘাযতীনের একটি চারতলার বাড়ি। তারপর ট্যাংরায় হেলে পড়ল ৪ তলা বাড়ি। এই বিল্ডিং গড়ে উঠেছিল তার সময় হয়েছিল মাত্র ৪ বছর। ক্রিস্টোফার রোডে ওই বাড়ি হেলে পড়ার জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। আতঙ্কিত বাসিন্দারা অভিযোগ করেছিলেন, দুটো বহুতলের মাঝে কোনওরকম জায়গা না রাখায় এই বিপত্তি হয়েছে। যার জন্য এক হাত দূরত্বে থাকা পাশের একটি বাড়ির দিকে হেলে পড়ে।  পাশাপাশি বাড়ির কাজও সম্পূর্ণ হয়নি। খোঁজ চলছিল নির্মীয়মাণ বহুতলের প্রোমোটারের। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ররা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। অন্যদিকে বাঘাযতীনের ঘটনায় শোকজ করা হয় দুই ইঞ্জিনিয়রকে।

বাঘাযতীনের এই ঘটনার রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ট্যাংরায় নির্মীয়মাণ বহুতল হেলে পড়ায় তুমুল ক্ষোভ ছড়ায় ক্রিস্টোফার রোডে।  বুধবার সেই ঘটনাটি সামনে আসে। এক হাত দূরত্বে থাকা পাশের একটি বাড়ির দিকে নির্মীয়মান বহুতল হেলে পড়ে। অভিযোগ ওঠে দু’টো বহুতলের মাঝে কোনওরকম জায়গা না রাখার। নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ের কাজ  এখনও শুরু হয়নি। 

সাথে এই ঘটনা কীভাবে ঘটল তার তদন্ত করে দেখছে কলকাতা পুরসভা। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণের ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার কোনও শর্তেই মানা হয়নি। পাশের বাড়িগুলির সঙ্গে যে নূন্যতম দূরত্ব রাখা দরকার হয়, নির্মাণকাজের সময় সেদিকে খেয়াল রাখা হয়নি।

বাড়িটি হেলে যাওয়ার খবর পুরকর্তৃপক্ষ তদন্তে নামে। খোঁজ নেওয়ার জন্য এলাকায় পৌঁছান পুর ইঞ্জিনিয়াররা।  এদিকে, বাঘাযতীনের বাড়ি বিপর্যয় নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়ে কলকাতা পুরসভায়। পুর কমিশনার ধবল জৈন এর কাছে রিপোর্ট জমা দেয় বিল্ডিং বিভাগ। রিপোর্টে ৭ টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। মাটির পরীক্ষা, যথোপযুক্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করা, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার এর অনুমোদন ছাড়া কাজ করা। বহুতল বিপর্যয়ের জন্য প্রোমোটারকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে রিপোর্টে। বহুতল সম্পূর্ণভাবে বেআইনি ছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। নিরানব্বই নম্বর ওয়ার্ডের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং বরো দশের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এই দুজনকে শোকজ করে কলকাতা পুরসভা।