চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলন ঘিরে তুলকালাম ঘটনা ঘটে। পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তিতে আহত হন দুপক্ষের বেশ কয়েকজন। রক্ত পর্যন্ত ঝড়ে। বিকাশ ভবনের ভিতরে বিভিন্ন অফিসে কর্মরত কর্মীদের বের করে আনতে গিয়ে পুলিশকে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয়। এই নিয়ে সোচ্চার বিভিন্ন মহল।
সল্টলেক বিকাশ ভবনের এই ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার বলেন, পুলিশ সংযত থেকে অনুরোধ করেছে বারংবার। আন্দোলনকারীদের সরাতে পুলিশ বারবার মাইকিং করেছে। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে জোর করে ভিতরে ঢুকে যায়। তখন পুলিশ কিছু করেনি, পুলিশ সংযত থেকেছে।
তিনি আরো জানান, ওই চত্বরে অনেক অফিস আছে। সেই সব অফিসে বহু কর্মচারী আটকে পড়েছিলেন।ব্যারিকেড ভেঙে আন্দোলনকারীরা বিকাশ ভবনের ভিতরে ঢোকেন তখন পুলিশ কিছু করেনি। পুলিশ সংযত থেকেছে। তারপরও পুলিশ সাত ঘন্টা ধরে সংযত থেকেছে। ওই চত্বরে অনেক অফিস আছে সেই সব অফিসের কর্মচারীরা বেরোতে চাইছিলেন। যতবার আমরা আবেদন করেছি ততবার আন্দোলনকারীরা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন।
যখন কর্মচারীদের বাইরে বেরোনোর রাস্তা করে দেওয়া হচ্ছিল তখন আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। ৭ ঘণ্টা ধরে ৫০০ থেকে ৬০০ কর্মচারীকে আটকে রেখে তখনও সেই আন্দোলন চলতে থাকে। যখন তাদের আটকে রেখে আন্দোলন চলে তখন তা গণতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারে না। চাকরিহারা শিক্ষকরা গত ১০ দিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। তখন থেকে পুলিশ সংযত আচরণ করে চলেছে। আটকে পড়া কর্মচারীদের সেখান থেকে বের করে আনার জন্যই পুলিশকে উদ্যোগ নিতে হয়। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ আরও জানান, কর্মচারীদের বাইরে বার করতে যেটুকু বল প্রয়োগের প্রয়োজন ছিল সেটুকুই করা হয়েছ।
এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম বলেন, লাঠিচার্যের সময় সমস্ত প্রোটোকল মানা হয়। সাত ঘন্টা ধরে পুলিশের শত অনুরোধের পরেও আন্দোলন চালিয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। আটকে পরা কর্মীদের বের করে আনতে কিছুটা বলপ্রয়োগ করতে হয়।বলপ্রয়োগের কোন উদ্দেশ্য ছিল না পুলিশের। পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করেছে।
১৯ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। জোর করে ভিতরে ঢুকে পড়েন আন্দোলনকারীরা। বিকাশ ভবনের ভিতরে আটকে পরা কর্মচারীদেরও তো একটা অধিকার আছে, তারা তো কোন অন্যায় কাজ করেনি। আন্দোলন নিয়ে পুলিশের কিছু বলার নেই, তাদের বেদনা আমরাও বুঝি। জোর করে কর্মচারীদের ভিতরে আটকে রাখলে সেখানে আন্দোলনের নামে গণতান্ত্রিক অধিকার থাকে না।