ad
ad

Breaking News

Nabanna

প্রতারকদের অস্ত্র ভোঁতা করতে পাঁচ দফা গাইডলাইন ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে

ইতিমধ্যেই পাঁচ দফা গাইডলাইন পৌঁছে গিয়েছে সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের কাছে। রাজ্য সরকারের টাকা নির্ধারিত হয়েছে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের তালিকাভুক্ত উপভোক্তাদের জন্যই।

Nabanna issues guidelines to combat deception in banglar bari project

সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের ক্ষেত্রে টাকা গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টিকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত দপ্তরের তরফ থেকে জেলা প্রশাসনের জন্য পাঁচ দফা গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে ট্যাবের টাকা গায়েবের ঘটনা ঘটেছিল।‌ বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।‌ তদন্তে উঠে এসেছিল ‘জামতাড়া গ্যাং’-এর কথা। তারপর নবান্ন থেকে বেশ কয়েক দফা গাইডলাইন জারি করা হয়েছিল। সরকারি টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন কোন সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে তা নিয়েই ছিল গাইডলাইন।‌

আবাস যোজনা বা বাংলার বাড়ি প্রকল্পের ক্ষেত্রে আগামী সময় যাতে উপভোক্তাদের কোনও সমস্যা তৈরি না হয় তার জন্য ফের পঞ্চায়েত দফতর কর্তৃক ৫ দফা গাইডলাইন প্রকাশিত হয়েছে।‌ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথভাবে আবাস যোজনার উপভোক্তারা যাতে সুবিধা পান সেই কারণে উদ্যোগ ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার ক্ষেত্রে মুখ ঘুরিয়ে রাখল। একাধিকবার কেন্দ্রীয় দল এই রাজ্যে এসেছে। তারা রিপোর্ট দিয়েছে।‌ তবুও আবাস যোজনার টাকা রাজ্য সরকার পায়নি। এমন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে কলকাতার রেড রোডে অবস্থানে বসেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করেছিলেন, কেন্দ্র না দিলে রাজ্য সরকার এই যোজনার টাকা দেবে। সেইমতো রাজ্য সরকারের চলতি বাজেটে আবাসের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা রাখা হয়। ১২ লক্ষ উপভোক্তা ও তার পরিবারের জন্য ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

[আরও পড়ুন: ধারাবাহিক ব্যর্থ, তবুও রোহিত-বিরাটকে ছাড় বোর্ডের]

গত ডিসেম্বর মাসেই ১২ লক্ষ উপভোক্তার জন্য বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার কাজ শুরু করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর কয়েকটি জায়গা থেকে অভিযোগ আসে এই প্রকল্পের অর্থ গায়েবের। ট্যাবের টাকা গায়েবের বিষয়টিকে মাথায় রেখে সেই কারণে ফের পঞ্চায়েত দফতর করতে পাঁচ দফা গাইডলাইন প্রকাশিত হয়েছে জেলা প্রশাসনের জন্য।

[আরও পড়ুন: এবার মুম্বই-এ ঢুকে পড়ল এইচএমপিভি ভাইরাস! মহরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩]

ইতিমধ্যেই পাঁচ দফা গাইডলাইন পৌঁছে গিয়েছে সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের কাছে। রাজ্য সরকারের টাকা নির্ধারিত হয়েছে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের তালিকাভুক্ত উপভোক্তাদের জন্যই। হলে সেই টাকা যাতে বেহাত না হয়ে যায় তার জন্যেই সতর্কতাস্বরূপ ৫ দফা গাইডলাইন করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।‌ প্রথম দফায় ১২ লক্ষ উপভোক্তা ও তার পরিবার প্রতি এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা দেবে রাজ্য সরকার। পরবর্তীতে আরও ১৬ লক্ষ উপভোক্তা এবং তার পরিবার বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরকারি অর্থ যাতে প্রাতারকরা হাতিয়ে না নিতে পারে তার জন্যই এই গাইডলাইন।

‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে অর্থ প্রদানের গাইড লাইন-

* ছদ্মবেশ বা ক্যামোফ্লেজ করে প্রতারণা

সরকারি দফতরের আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তাদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে প্রতারণা। বিশেষ করে ব্লক স্তরে বিডিও অফিস থেকে এই ধরনের ঘটনার সংখ্যা বেশি।

* নকল অজুহাত

উপভোক্তাকে ফোন করে বা মেসেজ পাঠিয়ে নির্দিষ্ট প্রকল্পের অনুদান অনুমোদিত হয়েছে বলে জানিয়ে মোবাইল নম্বরটি সঠিক উপভোক্তার কিনা তা ভেরিফিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ওটিপি উপভোক্তার মোবাইলে পাঠানো হয়।

* দ্রুততা ও বিশ্বস্ততা

প্রতারকরা উপভোক্তার কাছে দ্রুত তাদের প্রাপ্য টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য তৎপরতা দেখায়। কারণ সে ক্ষেত্রে তারা উপভোক্তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুত তাদের আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অছিলায় তারা উপভোক্তার থেকে প্রয়োজনীয় ওটিপি আদায় করে।

* ওটিপি সংগ্রহ

প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে এবং তাদের বিশ্বাসভাজন মনে করে উপভোক্তা তাঁর মোবাইলে আসা ওটিপি প্রতারকের সঙ্গে শেয়ার করেন।

* বেআইনি লেনদেন

প্রতারিত হওয়া উপভোক্তার থেকে ওটিপি সংগ্রহ করে সেই ওটিপি ব্যবহার করে প্রতারক উপভোক্তার অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক লেনদেনের মাধ্যমে উপভোক্তা টাকা আত্মসাৎ করে নেয়।