চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস শনিবার সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে জানিয়েছেন, এই অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। ফাঁসির নির্দেশ এলে তা কার্যকর করতে প্রস্তুত কলকাতা পুরসভার কর্মী এবং ফাঁসুড়ে নাটা মল্লিকের পুত্র মহাদেব মল্লিক। রবিবার এক সংবাদমাধ্যমকে মহাদেব জানিয়েছেন, ফাঁসির কাজ করতে হলে তাঁর কোনো হাত বা বুক কাঁপবে না।
“বাবার কাছ থেকে শিখেছি, অসুবিধা হবে না”
২০০৪ সালে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসির সময় বাবার সহকারী হিসাবে কাজ করেছিলেন মহাদেব। তিনি বলেন, “বাবার শরীর খারাপ থাকলে আমাকেই সব করতে হত। এখনও পর্যন্ত তিনটি ফাঁসির নির্দেশ কার্যকর করেছি, বাবার সঙ্গে ছিলাম। ফাঁসির কাজটা সবার পক্ষে করা সম্ভব নয়। সরকার ডাকলে আমি যাব।”
১৯৯১ সালে কার্তিক শীল ও সুকুমার বর্মনের ফাঁসির স্মৃতিচারণা করে মহাদেব জানান, “কার্তিক সম্পত্তির লোভে নিজের কাকার পুরো পরিবারকে খুন করেছিল। একটি মেয়ে বেঁচে গিয়ে রাজসাক্ষী হয়। ওই ফাঁসিতেও আমি ছিলাম।”
সঞ্জয়ের উপর ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি মহাদেব
সঞ্জয়ের অপরাধের প্রসঙ্গে মহাদেব বলেন, “ডাক্তার আমাদের কাছে ভগবান। কত লোকের প্রাণ বাঁচান। তাঁকে এমন ভাবে মারল! এ ধরনের অপরাধীদের উপর কি মায়া রাখা যায়?” ব্যক্তিগত ভাবে তিনি চান, এমন অপরাধীদের হিংস্র বাঘের মুখে ছেড়ে দেওয়া উচিত।
তবে মহাদেব মনে করেন, সঞ্জয়ের পক্ষে একা এই কাজ করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “এটা ও একা করতে পারে না। আরও যারা জড়িত, তাদেরও ধরা উচিত। তবে সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ড চাই।”
শিয়ালদহ আদালতে ফাঁসির নির্দেশ এলে সঞ্জয়ের পক্ষে তা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ থাকবে। প্রথমে হাই কোর্ট, পরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারবেন তিনি। শীর্ষ আদালত যদি ফাঁসির নির্দেশ বহাল রাখে, তবে সঞ্জয়ের শেষ ভরসা হবে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষা। রাষ্ট্রপতি ক্ষমা না করলে, তখনই মহাদেবের ডাক পড়বে।
মহাদেবের মতো অনেকেরই নজর থাকবে সোমবার শিয়ালদহ আদালতের রায়ে। সঞ্জয়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বিচারকের রায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে।