নিজস্ব চিত্র
Bangla Jago Desk: নারকেলডাঙায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত ১। রবিবার সকালে ঝুপড়ির ভিতর থেকে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সূত্রের খবর, আগুনের গ্রাসে ভস্মীভূত অন্তত ৪০টি ঝুপড়ি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম হাবিবুল্লা মোল্লা (৫৫)। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি ঝুপড়িতে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। আগুন ছড়িয়ে পড়লে ঘর থেকে বেরোনোর সুযোগ পাননি।
শনিবার রাতে শহর কলকাতার নারকেলডাঙায় খালপাড়ের পাশের বস্তিতে আচমকা আগুন লাগে। এরপর সেই আগুনের শিখা তীব্র হওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। এরপর এই আগুন দেখে স্থানীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তারা খবর দেয় দমকল বাহিনীকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। পরে আগুনের মাত্রা আরও তীব্র হলে আরও ছ’টি ইঞ্জিন আনা হয়। অবশেষে তাদের চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
নারকেলডাঙার বস্তিতে ভয়াবহ আগুন, মৃত ১ pic.twitter.com/Uc8B3Xvhq6
— Bangla Jago Tv (@BanglaJagotv) February 9, 2025
জানা যায়, ওই এলাকা ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন এতো তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়েছিল। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর নেই। তবে শহর কলকাতায় আবারও এই ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা কীভাবে ঘটল তা সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি।
দমকল সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ নারকেলডাঙার ওই বস্তিতে আচমকা আগুন লাগে। আগুনের তীব্রতা একের পর এক বস্তিকে ঝলসে দেয়। আকাশ ছেয়ে যায় ঘন কালো ধোঁয়ায়। পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৩০- এরও বেশি ঘর। রাস্তার ধারে থাকা একটি পিকআপ ভ্যান এবং ট্রাকেও আগুন লেগে যায় সেই সময় বলে এমনটাই জানা যায়। ঘটনাস্থলে দমকলের মোট ১৬টি ইঞ্জিন এসে পৌঁছায়। এরপর খবর দেওয়া হয় নারকেলডাঙা থানার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দীর্ঘ চেষ্টার পর রাত ২টো ১০ নাগাদ এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। দমকল বাহিনীদের সাথে আগুন নেভাতে সাহায্য করেন স্থানীয় মানুষেরাও।
এরপর স্থানীয়দের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছু ঝুপড়িও ভাঙতে হয়। তবে এই আগুন লাগল কীভাবে তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ ও দমকল কর্মীরা।