সাতসকালে খাস কলকাতার বুকে শুটআউটের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পিঠে গুলি লেগে গুরুতর আহত হয়েছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব এক মহিলা। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার সকালে হরিদেবপুরে ঘটে যাওয়া এই শুটআউটের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জটিলতা ও টানাপোড়েন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত হলেন আক্রান্ত মহিলার প্রতিবেশী তথা প্রেমিক বাবু নামে এক যুবক। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, বাবুকে গ্রেফতার করা গেলে দ্রুত এই ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত মহিলা মৌসুমী হালদার বিবাহিত এবং এক সন্তানের মা। প্রতিবেশী বাবুর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কয়েক বছর আগে। বাবুর স্ত্রী বছর পাঁচেক আগে মারা গিয়েছিলেন, তাঁরও এক মেয়ে রয়েছে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই মৌসুমী ও বাবুর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এলাকাবাসীর মধ্যে এমন কথাও শোনা গিয়েছিল যে, তারা গোপনে বিয়েও করেছেন। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারেননি স্থানীয়রা।
মৌসুমীর সঙ্গে বাবুর সম্পর্ক নিয়ে প্রায়ই অশান্তি তৈরি হতো। সম্প্রতি মৌসুমী হালদার এই সম্পর্ক থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, দু’জনেরই সন্তান এখন বড় হয়ে গিয়েছে এবং তিনি বাবুর বৈধ স্ত্রী নন। তাই এই সম্পর্কে আর থাকতে চান না। কিন্তু বাবু তা মেনে নিতে পারেননি। এনিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রায়ই বিবাদ হতো বলে জানিয়েছে প্রতিবেশীরা।
তাঁদের অনুমান, সম্পর্ক ভাঙার প্রতিশোধ নিতেই মৌসুমীর উপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে বাবু। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল মৌসুমীকে খুন করা। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং গুলি করার পর বাবু পালিয়ে যায়। বর্তমানে তাঁর খোঁজ চলছে।
অন্যদিকে, হাসপাতালে ভর্তি মৌসুমী হালদারের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে ভয় ও রহস্য ঘনিয়েছে পুরো ঘটনাকে ঘিরে। পুলিশ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে।



