চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: বর্তমান ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে কলকাতা বিমানবন্দরেও জারি হয়েছে হাই এলার্ট। এই পরিস্থিতিতে যাত্রী ও কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে একাধিক কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রথমত, বিমানবন্দরের কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সকল কর্মীকেই ডিউটিতে রাখা হয়েছে যাতে জরুরি অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। দ্বিতীয়ত, বিমানবন্দরের ভিতরে কোনো গাড়ি দাঁড় করানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, যাতে সন্দেহভাজন যানবাহন চিহ্নিত করে দ্রুত অপসারণ সম্ভব হয়।
তৃতীয়ত, কিছু বিমান বাতিল করা হয়েছে এবং দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরের পরিষেবা বন্ধ থাকায় বাড়তি চাপ পড়েছে কলকাতা বিমানবন্দরের উপর। এক্ষেত্রে যাত্রীদের নিরাপত্তা বজায় রেখেই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।
ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মতে, কলকাতা বিমানবন্দর একটি সম্ভাব্য জঙ্গি হামলার টার্গেট হতে পারে। সেই কারণে নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। তবে এই প্রসঙ্গে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রাক্তন ফ্লায়িং অফিসার রমেশ চন্দ্র দত্ত আশ্বস্ত করেছেন, কলকাতা বিমানবন্দরে হামলা চালানো মোটেও সহজ নয়।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নজরদারি চালানো হচ্ছে, এবং যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ বাহিনী ও ব্যবস্থা প্রস্তুত রয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি আশেপাশে বেশ কিছু বিকল্প বিমানবন্দর রয়েছে, যা প্রয়োজনে ভারতীয় সেনাবাহিনী ব্যবহার করতে পারে। এর ফলে অপারেশনাল দিক থেকেও কলকাতার ওপর নির্ভরশীলতা কিছুটা কমানো সম্ভব।
[আরও পড়ুন: জয়সলমেরের পাথরে তৈরি জগন্নাথ! জানুন কলকাতার কোথায় গড়ে উঠছে এই মন্দির]
বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে এয়ার-টু-এয়ার রিফিউল করার ক্ষমতা রয়েছে, যা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে অনেকটা বাড়তি সুবিধা দেয়। এর ফলে ফাইটার জেটগুলি দীর্ঘ সময় আকাশে থেকে কাজ করতে পারে। সব মিলিয়ে, কলকাতা বিমানবন্দরে হাই এলার্ট জারি থাকলেও, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী শুধুমাত্র সতর্কতামূলক ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। নাগরিকদের শান্ত ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।