Bengla Jago Desk: শুক্রবার রায়দান হল বহু প্রতীক্ষিত কামদুনি মামলার। কলকাতা হাই কোর্ট ফাঁসির সাজা রদ করল তিন অভিযুক্তের। ১০ বছর আগের নারকীয় সেই ঘটনায় রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল সব মহল।২০১৩ সালের ৭ জুন পরীক্ষা দিয়ে কামদুনির বাড়িতে ফিরছিলেন রাজারহাট ডিরোজিও কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীটি। অভিযোগ, বাস থেকে নেমে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে রাস্তা থেকে জোর করে পাঁচিল ঘেরা একটি ঘরে নিয়ে যায় ৯ জন দুষ্কৃতী। সেখানে তাঁর ওপর চলে নারকীয় অত্যাচার। খুনের পর দেহটি ভেড়িতে ফেলে যায় দুষ্কৃতীরা।
ঘটনা সামনে আসতেই প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে ধিক্কার-আন্দোলন শুরু হয়। রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। তদন্তভার হাতে নিয়ে সিআইডি অভিযুক্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করে। ওই মামলায় ২০১৬ সালে ৬ জন অভিযুক্তর সাজা ঘোষণা করেছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল সইফুল আলি মোল্লা, আনসার আলি মোল্লা, আমিন আলি, ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর ও আমিনুল ইসলাম। সইফুল, আনসার ও আমিনকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত।
বাকি ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। দোষী সাব্যস্তরা সাজা মকুবের জন্য কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন জানায়। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও অজয় কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা চলছিল। অবশেশ সেই মামলার রায়দান হল। শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাই কোর্টের রায় দানের পর আদালত চত্বরেই জ্ঞান হারান মৌসুমী কয়াল। কান্নায় ভেঙে পড়েন টুম্পা কয়াল। এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন।
Free Access