চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবার হামাসকে হাতিয়ার করে ভারতের বুকে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা করছে। সাম্প্রতিক গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ ভূখণ্ড ব্যবহার করে কলকাতাকে টার্গেট করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের মূল পরিকল্পনাকারী পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই, যারা হামাসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত করছে। এই তথ্য হাতে আসার পরই রাজ্যে গঠিত হয়েছে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ এলিট ফোর্স, যারা যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
হামাসের ভূমিকা ও আইএসআই-এর পরিকল্পনা
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস, যার পুরো নাম হারাকাত আল-মুকাওয়ামা আল-ইসলামিয়া, দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তবে এবার, তাদের উপস্থিতি দক্ষিণ এশিয়াতেও বিপদ সংকেত দিচ্ছে। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই হামাসকে বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়েছে এবং তাদের মাধ্যমে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করার কৌশল সাজিয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হামাসের দুই শীর্ষ নেতা বাংলাদেশ সফর করেছেন। সেখানে তারা বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। একই সঙ্গে, আইএসআই-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত রয়েছেন। বাংলাদেশকে ব্যবহার করে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বল দিকগুলি খুঁজে বের করাই এই ষড়যন্ত্রের অন্যতম উদ্দেশ্য।
কেন বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হচ্ছে?
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে দুর্বল। তাদের হাতে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মান ভালো নয়, এবং গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণও পুরনো। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আইএসআই এবং হামাস বাংলাদেশ সেনাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় হ্যাকিং-এর মাধ্যমে প্রবেশ করার কৌশল শেখাচ্ছে।
হামাসের অন্যতম বিশেষত্ব হলো, গেরিলা যুদ্ধ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকেজো করে দেওয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী, হামাসের সাহায্যে ভারতীয় ডিফেন্স সিস্টেমে ঢুকতে চায় আইএসআই। তারা জানতে চাইছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে ঠিক কী কী ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্মস রয়েছে। পাশাপাশি, হামাস থেকে গেরিলা যুদ্ধের কৌশল শেখার জন্য বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামাসের সভা
গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫ ফেব্রুয়ারি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। সেখানে লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মোহাম্মদ-এর মতো ভারতবিরোধী জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেছে হামাস। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল, ভারতীয় ভূখণ্ডে নাশকতা চালানোর জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা করা।
কলকাতাকে কেন টার্গেট করা হয়েছে?
আইএসআই-এর কর্মকর্তারা মনে করছেন, কলকাতা তাদের অন্যতম সহজ লক্ষ্য। সীমান্তের অরক্ষিত বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় অনুপ্রবেশ সহজ হতে পারে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, কলকাতায় বড়সড় হামলা চালিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করতে চায় আইএসআই।
তাদের মূল লক্ষ্য হলো—
ভারতের প্রস্তুতি: গঠিত হয়েছে এলিট ফোর্স
গোয়েন্দাদের কাছে এই তথ্য আসার পরই রাজ্যে একটি বিশেষ এলিট ফোর্স গঠন করা হয়েছে, যার নাম ‘হিট স্কোয়াড’। এই স্কোয়াডে থাকছেন এনএসজি প্রশিক্ষিত কমান্ডোরা, যারা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে অত্যন্ত দক্ষ।
এই বাহিনীর বৈশিষ্ট্য:
গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে, রাজ্যে তিনটি ‘ঘাতক দস্তা’ গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দস্তায় ছয়জন করে বিশেষ প্রশিক্ষিত কমান্ডো থাকবেন। তাদের দায়িত্ব হবে, যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী হুমকির দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো এবং শত্রুদের দমন করা।
ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হচ্ছে
আইএসআই-এর পরিকল্পনা ও হামাসের কলকাতায় হামলার ষড়যন্ত্র ভারতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ ও প্রতিরক্ষা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর ভারত সরকার। আগামী দিনে গোয়েন্দা বিভাগ আরও তথ্য সংগ্রহ করছে এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলো কলকাতা সহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।