Bangla Jago Desk: লেক কালীবাড়ির কালীপুজো। এবছরে ৭৬ বছরে পা। এখানে মা কে করুণাময়ী কালী রূপে আরাধনা করা হয়। সকালে মায়ের মঙ্গলারতির পর পুজো শুরু হয়। রাতভর পুজো চলে। চৈত্র সংক্রান্তি ও কালীপুজো, বছরে এই দু’দিন লেক কালীবাড়িতে ঘট বিসর্জন হয়। কালি পুজোর দিন সন্ধেয় নতুন ঘট প্রতিষ্ঠা করে মায়ের পুজো হয়। এটাই লেক কালীবাড়ির বৈশিষ্ট্য। গতকালের পর আজও সকাল থেকে লেক কালীবাড়িতে ভক্তের ঢল।
কথিত আছে মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য হরিপদ চক্রবর্তী নাকি স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। স্বয়ং মা কালী তাঁকে দেখা দিয়ে মন্দির প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেন। সাধক ছিলেন দরিদ্র। মন্দির তৈরি করতে যে বিশাল খরচ তা বহন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। সেকথা তিনি দেবীকে জানালে, তিনি আশ্বাস দেন যে, নিজের পুজোর দায়িত্ব তিনি নিজেই নেবেন। বর্তমানে দেবী যেখানে অধিষ্ঠিতা সেই স্থানে আগে ছিল একটি পাতার কুটির। পরে তা মন্দির হয়। তারপর বহুবার তার সংস্কার হয়। এখানে বিগ্রহ কখনও সেজে ওঠে ফুলের সাজে। আবার কখনও বা প্রতিমাকে সাজানো হয় স্বর্ণালঙ্কারে।
কালীবাড়ির রীতি মেনে পুজো শেষে এই লেকেই ঘটের বিসর্জন দেওয়া হয়। আবার সেই লেক থেকেই জল তুলে রাতে ফের মা কালীর পুজো শুরু করা হয়। কালী পুজোর দিন সারা রাত ধরে পুজো চলে। অঞ্জলি হয় একেবার পুজোর শেষে। অর্থাৎ, অঞ্জলি হতে হতে ভোর হয়ে যায়। লেক কালীবাড়ি প্রথা অনুযায়ী প্রত্যেকবারই কালীপুজোর দিন মাকে আমিষ ভোগ নিবেদন করা হয়।