Bangla Jago Desk: গড়িয়ার বাহান্নপল্লী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র এবং ঘটনায় আশুতোষ কলেজের একজন তৃতীয় বর্ষের ছাত্রকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সঙ্গে এদিন আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। পরে যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ তাদের একজনের নাম বিজয় হালদার ওরফে ভুতম, আরেকজনের নাম হিরন্ময় নস্কর ওরফে রানা বলেই পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি ওয়ান সাটার বন্দুক ,২টি ৭ এম এম পিস্তল, লাইভ কার্তুজ ৩০ রাউন্ড, বারুদ ৫ কেজি। তাছারাও পুলিশ এদিন ২৫টি বান্ডিল সুতলি উদ্ধার করেছে হিরন্ময়ের বাড়ি থেকে।
বিজয় হালদার ওরফে ভুতম দাগী আসামী হিসেবে পরিচিত এলাকায়। তার বিরুদ্ধে খুনের মতো একটি মামলাও রয়েছে। এর আগেও তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের একটি বিশেষ টিম কাজে নেমে পড়ে। পুলিশের তরফ থেকে জাল বিছানো হয় বিজয় হালদার এবং হিরণময় নস্করকে ধরার জন্য।
দুজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তল্লাশি চালিয়ে এই অস্ত্র ও বারুদ উদ্ধার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বারুইপুর পুলিশ জেলার DSP ক্রাইম ফয়সেল বিন আহমেন। তবে কোথা থেকে এই অস্ত্র এসেছে? তা আপাতত খতিয়ে দেখা থেকে শুরু করে অপরাধীরা অস্ত্র চোরাচালান কারবারের সাথেও যুক্ত কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।
তবে নির্বাচনের আগে কি কারণে এত অস্ত্র মজুদ করা হয়েছিল? কোথা থেকে এত অস্ত্র এলো? কি কাজে ব্যবহারের জন্য এই অস্ত্র আনা হয়েছিল? বোমা তৈরির জন্য এত পরিমান বারুদ এবং সুতলি কেনই বা মজুদ করা হয়েছিল? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।