চিত্রঃ সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: সামনেই দীপান্বিতা অমাবস্যা, অর্থাৎ আলোর উৎসব কালীপুজো। শুধু তাই নয়, এর পরপরই রয়েছে ছটপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজো। উৎসবের এই মরশুমে রাজ্যের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক করলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। এই বৈঠকে উৎসবের দিনগুলিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রী সুজিত বসু ঘোষণা করেন, “দীপাবলি, কালীপুজো, ছটপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে আরও ৫১টি অতিরিক্ত অস্থায়ী ফায়ার স্টেশন অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্র তৈরি রাখা হচ্ছে।” তিনি জানান, এই অস্থায়ী স্টেশনগুলি কলকাতা, বারাসাত, নৈহাটি এবং যে সমস্ত জায়গায় বাজি বাজার তৈরি হয়, সেখানে স্থাপন করা হবে (Sujit Bose)।
আগামী ২০ তারিখ কালীপুজো। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। এই প্রস্তুতিকে মাথায় রেখে কালীপুজোর ঠিক আগের দিন, অর্থাৎ ১৯ তারিখ থেকেই জোরকদমে ময়দানে নামছে দমকল বিভাগ। মন্ত্রী জানান, “শতাধিকেরও বেশি ফায়ার স্টেশন ছাড়াও এই অতিরিক্ত ৫১টি অস্থায়ী কেন্দ্র তৈরি করা হবে।” দমকলের হাতে থাকা মোটরসাইকেলগুলিও অগ্নি নির্বাপণের কাজে ব্যবহার করা হবে বলে মন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ১৯ তারিখ থেকেই দমকলকর্মীরা রাস্তায় থাকবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। কেবল কালীপুজো নয়, ছট এবং জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়েও এদিন আলোচনা হয়। মন্ত্রী বলেন, “ছট পুজোতে ঘাটে ঘাটে নজরদারি চলবে। যে সমস্ত ক্যাম্প তৈরি করা হয়, সেগুলিতেও বাড়তি নজরদারি থাকবে।” অন্যদিকে, জগদ্ধাত্রী পুজোকে মাথায় রেখেও দমকল প্রস্তুত। বিশেষ করে চন্দননগরে চারদিন ধরে চলা এই বৃহৎ পুজোয় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে সুজিত বসু জানান। দুর্গাপুজো থেকে কোনো অংশে কম নয় এই উৎসব। চন্দননগরের পাশাপাশি কলকাতাতেও বিশেষ নজর থাকবে বলে দমকলমন্ত্রী জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, পুজোর দিনগুলিতে মানুষের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে (Sujit Bose)।
Bangla Jago fb page: https://www.facebook.com/share/17CxRSHVAJ/