চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: এবছর সরস্বতী পুজো দু’দিন। রবিবার এবং সোমবার। শহর কলকাতায় পুজো ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে। দ্বিতীয় দিনেও শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পুজো অনুষ্ঠিত হয়। আর এবার বিশেষ নজর কেড়েছে উত্তর কলকাতার বিখ্যাত টালা প্রত্যয়। প্রথম দিন থেকে জনস্রোত। যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে দুর্গা পুজোর সেই জনপ্লাবনের ছবি। সেই সঙ্গে তাদের ভাবনা বিশেষ বার্তা বহন করছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার সংস্কৃতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন সময়ে। উৎসবকে কেন্দ্র করে একটা শিল্প পরিবেশ গড়ে উঠেছে রাজ্যে। ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এই ভাবনায় রাজ্য সরস্বতী পুজোকে সামনে রেখেও এক শিল্প আঙ্গিকে। যেখানে সম্প্রীতির বন্ধন দেখা দিয়েছে সর্বত্রই। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই উন্মাদনা পুজো ঘিরে। আর সেই উন্মাদনাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে উত্তর কলকাতার টালা প্রত্যয়।
বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশন থেকে এক সারিবদ্ধ জনস্রোত এগিয়ে চলেছে টালা প্রত্যয়-এর অভিমুখে, দুর্গা পুজোর সময় এই চিত্র দেখতে অভ্যস্ত ছিল বাঙালি, বসন্ত পঞ্চমীতেও সেই একই দৃশ্য দেখল কল্লোলিনী কলকাতা। বিগত কয়েক বছরে কলকাতা তথা বাংলার দুর্গা পুজো-শিল্পে এক অন্যতম নাম টালা প্রত্যয়। ফি বছর জনপ্লাবন নামে এই পুজো-শিল্পকে ঘিরে। এই বছর সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে এক নতুন ট্রেন্ড সেট করল টালা প্রত্যয়।
এক অমোঘ ও সুবিশাল সরস্বতী মূর্তির সামনে টালা প্রত্যয় এর ‘মিউজিক ইন এ পার্ক’ নামক কনসার্টে গত ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠান করলেন বাঁশির জাদুশিল্পী পন্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া ও সরোদ সম্রাট উস্তাদ আমজাদ আলি খান। যা নিমেষে ছড়িয়ে পড়ল সোস্যাল মিডিয়ায়। লক্ষাধিক মানুষের আগমন নিশ্চিত করল বাংলার মানুষ কতটা সংস্কৃতিপ্রেমী। শিল্প ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে সোস্যাল মিডিয়ায়কে কিভাবে ব্যবহার করা যায় তা ইতিমধ্যে ভীষণ ভাবে রপ্ত করে ফেলেছে কলকাতার এই অন্যতম পুজো সংগঠন টালা প্রত্যয়।
যে শিক্ষিত ও সুশীল সমাজ ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের হাত ধরে আছড়ে পড়ল টালা প্রত্যয়-এর সরস্বতী পুজো প্রাঙ্গণে তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। মায়াবী পরিবেশে এক অমোঘ সরস্বতী মূর্তি চাক্ষুস করতে এসে এই লাখো মানুষের ঢল দেখল ‘সুর ও সংস্কৃতির অক্ষর বাংলার পরিচয় …’ এই লেখাটি, যা এবারের টালা প্রত্যয়ের সরস্বতী পুজোর বিষয় ভাবনা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দফতর ও টালা প্রত্যয় – এর যৌথ আয়োজনে এক বিশেষ প্রদর্শনী ‘বাংলার রাগসঙ্গীত’ প্রভূত ভাবে দাগ কেটেছে সংস্কৃতি প্রাণ বাঙালির অন্তরে।
টালা প্রত্যয় সংগঠনের অন্যতম ব্যক্তি ধ্রুবজ্যোতি বোস শুভ বলেন ‘শিকড়ের টান আজও আমাদের প্রলুব্ধ করে, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বাংলার সংস্কৃতিকে প্রবাহমান করাটাই আমাদের অন্যতম দায়িত্ব। একটি উৎসবকে কেন্দ্র করে সোস্যাল মিডিয়ার সাহায্যে এই প্রবাহমান বিষয় ভাবনাকে জনমানসে ছড়িয়ে দেওয়াটাই বাংলার শিক্ষা ও সংস্কৃতির ধারাকে অব্যাহত রাখবে। ‘