নিজস্ব চিত্র
Bangla Jago Desk: মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ এলাকায় নয়া ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে কয়েকদিন ধরে চলা অশান্তির মাঝে প্রাণ হারিয়েছেন দুই সিপিএম সমর্থক, হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস। যদিও তাঁদের মৃত্যুর সঙ্গে বিক্ষোভের সরাসরি কোনো সম্পর্ক ছিল না, তবুও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মোয়াজ্জেনদের এক সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে। এছাড়া, অশান্তির সময় যাঁদের বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের জন্য ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। যেসব দোকান পুড়েছে বা ভেঙেছে, সেগুলির ক্ষতিপূরণের জন্য মুখ্যসচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নির্ধারণের।
গত শনিবার সামশেরগঞ্জে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস। এই ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার জানান, ধৃতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করছিল, তবে তাকে সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশ-যোগের সম্ভাবনা নিয়ে তদন্ত চলছে।
অশান্তির জন্য রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকার ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “মৃত্যুর পিছনে অভিযুক্তরা ধরা পড়েছে। যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত চলছে। সরকারের তরফে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হবে।”