ছবিঃ সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিন,তাতে আপনার এলাকার কাজ আরও ত্বরান্বিত হবে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস ৩৬৫দিন মানুষের পাশে থাকে। লোকসভা ভোটে মানুষ যেসব তৃণমূল প্রার্থীদের জিতিয়েছে তাঁরা আরও কাজ করবে। দার্জিলিং যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে এই আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,তিনি চান, ভিনরাজ্যের ভোটে বিজেপিকে হারাক সাধারণ মানুষ।
লোকসভায় ৪২-এর মধ্যে ২৯ আসনে বিপুল জয় তৃণমূলের। জুলাইয়ের বিধানসভা উপ-নির্বাচনেও জয় হাসিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। মাণিকতলা,বাগদা,রানাঘাট দক্ষিণ ও রায়গঞ্জে মার্জিন বাড়িয়ে বিরোধীদের বোল্ড আউট করে শাসকদল। এবার আরজিকর আবহে বিধানসভার মিনি ভোট। বিরোধীরা জনগণের মূল ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতে চাইছে বলে মনে করছে ঘাসফুল শিবির। বাংলাকে বঞ্চনা,উন্নয়নের বিকল্প দিশা দেখানোর বদলে তাঁদের তুরুপের তাস আরজি করের ঘটনা। তৃণমূলের স্পষ্ট বক্তব্য,বাংলায় দুষ্টের দমন করা হয়, উন্নয়ন তৃণমূলই করে,বাংলার মানুষের ভালো তৃণমূলই করছে।
প্রচারে তুফান তুলছে ঘাসফুল। এরমাঝে উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলতঃ পাহাড়ের উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা তরান্বিত করার কাজে আরও জোর দিতে চান তিনি। উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,কোচবিহারের সিতাই , মাদারিহাট , তালডাংরা, হাড়োয়া, নৈহাটিতে নির্বাচন আছে।সেই উপ-নির্বাচনের আগে ভোটারদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন জানান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের জয়ী করে এলাকার উন্নয়ন নিশ্চিত করার খোলামেলা আহ্বান জানান তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল নেত্রী বুঝিয়ে দেন,৬এর মধ্যে ৬আসনেই ঘাসফুল প্রতীকে আস্থা রাখুন ভোটাররা। রাজ্যের ৪আসনের মতোই বাইরের রাজ্যেও ভোট রয়েছে। ১৩ এবং ২০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের পাশাপাশি ১৫টি রাজ্যের দু’টি লোকসভা আসন এবং ৪৮টি বিধানসভা আসনে রয়েছে উপনির্বাচন। উত্তরপ্রদেশের ন’টি, পঞ্জাবের চারটি এবং কেরলের একটি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে ২০ নভেম্বর।লোকসভায় বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে যায়।শরিক নির্ভরতা বেড়েছে।এবার তাই অন্যান্য রাজ্যের উপনির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আবেদন করলেন বিজেপি বিরোধী শিবিরের অন্যতম নেত্রী।বাংলার উন্নয়নের মতোই দেশের উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেওয়া জন্য তৃণমূল কংগ্রেস যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখবে সেকথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।