চিত্র: সংগৃহীত
দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: ভোটমুখী বাংলায় দুর্বল সংগঠনকে নতুন করে তৈরি করার জন্য নতুন রাজ্য সভাপতি বেঁচেছে বিজেপি (BJP Corruption)। বালুরঘাট সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের জুতোতে পা গলিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার দিন তিনি মঞ্চ থেকে দলীয় কর্মী সহ রাজ্যবাসীকে একাধিক বার্তা দিয়েছিলেন। পাশাপাশি, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে দুর্নীতি প্রসঙ্গে একহাত নিয়েছিলেন এবং হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যেন গেরুয়া শিবিরকে অস্ত্র নিয়ে নামতে বাধ্য না করা হয়।
[আরও পড়ুন: Manojit Mishra: আরও বিপাকে মনোজিত, উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য]
এই পরিস্থিতিতে এমন একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এল যা অস্বস্তি বাড়াল বঙ্গ বিজেপির। দলের এক বর্ষীয়ান ও প্রভাবশালী নেতা যুক্ত রয়েছেন দুর্নীতির সঙ্গে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এই অভিযোগ কোন বিরোধী দল থেকে আসেনি। বরং তা এসেছে খোদ দলের অন্দর থেকেই। দলের এক সদস্য উদয় সিংয়ের অভিযোগ, বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় কম সময়ের মধ্যে বেআইনিভাবে আয়ের চেয়ে বেশি সম্পত্তি করে ফেলেছেন (BJP Corruption)।
শুধু তাই নয়, নবান্নকে এই সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনের সচিবালয়ের তরফ থেকে এবং এর যাবতীয় খোঁজ খবর নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। বলে রাখা ভাল, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে অভিযোগপত্র গিয়েছে সিবিআই, অর্থ মন্ত্রক, আয়কর দফতর, ইডি, লোকপাল, নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওটা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “আমার একটাও বেআইনি সম্পত্তি নেই। এটা তৃণমূলের চক্রান্ত (BJP Corruption)।”
[আরও পড়ুন: Para Teacher: প্যারা টিচারদের জন্য সুখবর! বাড়ছে বেতন, মিলছে পদোন্নতি ও নতুন পদবী]
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন যে এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা খাবে বঙ্গ বিজেপি। শুধু তাই নয়, অনেকে এটাও দাবি করেছেন যে দলের স্বচ্ছতা ও সততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি শাসকদলের হাতে নির্বাচনের আগে একটা অস্ত্রও চলে আসবে। এবার দেখার বিষয় যে এর জল কতদূর গড়ায়। কোন পথে এগোচ্ছে এই লড়াই সেটাই এখন দেখার (BJP Corruption)।