চিত্র: নিজস্ব
Bangla Jago Desk: বর্তমানে পুজো মানেই থিম। বাহারি প্যান্ডেল, শৈল্পিক কারুকাজ, ফিউশন, আর্ট ও কলকাতার সারারাতব্যাপী হপিং। তবে আধুনিকতার যুগেও নিজের উপস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট সচেতন উত্তর একটি পুজো। বাগবাজার সার্ব্বজনীন দুর্গাপুজো। শতাধিক বছরের পুরনো এই পুজো আজও তার সাবেকিয়ানা ধরে রেখেছে। এখানে বিষয় ভাবনা নয়, সাবেকিয়ানাই প্রধান।(Durga Puja)
বাগবাজার সার্ব্বজনীন দুর্গাপুজোর সঙ্গে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। ১৯৩৬ সালে এই পুজোর সভাপতি হয়েছিলেন তিনি। রাজ্যের সাবেকি পূজাগুলির মধ্যে একেবারে প্রথম সারিতে বাগবাজার সার্ব্বজনীন দুর্গাপুজো। সুবিশাল প্রতিমায় সাবেকিয়ানার ছোঁয়া সুস্পষ্ট। বাংলার প্রাচীন রীতি অনুযায়ী নির্মিত প্রতিমা বাগবাজার সার্বজনীনকে এক অন্যমাত্রা দিয়ে থাকে প্রতি বছর। সাবেকিয়ানার জন্যই এই পুজো দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এছাড়া এবারের প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের মীনাক্ষী মন্দিরের আদলে। কাঠ, বাঁশ, রঙিন আলো, আর কারিগরদের হাতের ছোঁয়ায় গড়ে উঠছে এক অপূর্ব স্থাপত্য। পুজো কমিটির সদস্য জয়ন্ত রায় চৌধুরী জানান, মায়ের সাবেকি প্রতিমা, সাজসজ্জা, পুজোর টানে মানুষ এখানে আসেন।(Durga Puja)
বাগবাজারের কুমারী পুজো, সিঁদুর খেলাও অত্যন্ত জনপ্রিয়। দশমীর দিন কেবলমাত্র এলাকার মহিলারাই নন, অন্যান্য জায়গা থেকেও বহু মহিলা অংশ নেন বাগবাজারে সিঁদুর খেলায়।নারী শক্তির আবাহনে নারীসমাজ উল্লাসে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে।(Durga Puja)